কান্ত গোঁসাই শান্ত ভীষণ, জানতাে সবাই তাকে,
সাত চড়ে রা করেন না যে, নেই কোনাে হাঁক ডাকে ।
হঠাৎ যে তার মাথার ভেতর ঢুকলাে কীসের পােকা,
ভাব চেহারায় জ্ঞান যে হারায়, তার মেয়ে-বউ-খােকা।
হাসেন কাঁদেন, গল্প ফাঁদেন বিদ্ঘুটে আজগুবি,
দাঁত খেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলেন-আমার তাে কাজ খুবই।
নস্যি দিয়ে হাঁচেন কেবল, নাচেন পা-হাত ছুঁড়ে,
এবং বলেন, 'পেলেন' চড়েই সগগে যাবেন উড়ে ।
রাতের বেলায় ছাতে উঠেই চাঁদ ছুঁতে দেন লাফ,
জাপান যাবেন চা-পান খাবেন, বলেই ছাড়েন হাঁফ ।
ঘােলের ঝােলে চান করে রােজ ওলের স্যালাড খাবেন,
তাতেই নাকি হাতেই তিনি অ-মরি বর পাবেন ।
রাজাধিরাজ সিরাজ সেজে বিরাজ করেন গেহে,
থেকে থেকেই বউকে ডেকে ‘লুৎফা' বলেন স্নেহে।
মীরজাফরের বংশ এবার ধ্বংস দেব করে,
বলেই হাতে রামদা নিয়ে নামতা পড়েন জোরে।
জানিস কি তা? লিখবাে গীতা, পাল্টে দেব সবই,
বইয়ের মলাট, গ্রহের ললাট, চন্দ্র-তারা-রবি।
বলেই হাসেন খানিক কাশেন এবং চেঁচান জোরে-
রথের চাকা পথের ফাঁকায় খাচ্ছে গিলে ওরে ।
কুঁকিয়ে কেঁদে লুকিয়ে থাকেন, মাখেন গায়ে কাদা,
বলেন- ব্যাঁ ব্যাঁ, ছ্যাঁ ছ্যাঁ, আমি যাচ্ছি হয়ে গাধা।