বিশ্বাস করুন,
মাঝে মাঝে, কখনও অলস কোনও দুপুরে-
কাজের কথা বললে, ভারি রাগ হয় বটে।
ইচ্ছে হয়, রাশ আওয়ারের রিকশাওয়ালাদের মতোন বলি-
“যামু না!”
ঠিক একই নিস্পৃহ, নিরাবেগ মুখ নিয়ে-
গটগট করে গিয়ে শুয়ে পড়ি- ঘামেভেজা কাঁথা পেঁচিয়ে,
নিশ্চিত জানি, কিছুক্ষণ পরই-
সুনীল আকাশের মতো নীল বেদনা ছড়িয়ে,
ঘাই হরিণীর যন্ত্রণা মেখে-
উঠে বসব, বলব আম্মাকে;
“দেখি দেন, কি আনব- বলেন!”
রাগ আর তন্দ্রায় তখন চলছে দড়ি টানাটানি-
তবুও টলতে টলতে নামব,
সিঁড়ি বেয়ে, সরসরিয়ে-
মধ্যবিত্তের বৃত্তে সদা সজাগ চোখজোড়া নিয়ে।
বাজারে পা দিয়েই মনে হবে,
“দুত্তোর ছাই-
এইসব আলুপটল কেনা,
কি মানুষের কম্ম!”
তারপর, একের বদলে আধা-
আর মুগের বদলে মসুর কিনে,
কিংবা বাসি মরিচ-
কি প্রীতি জিনতার মতোন টোল পড়া টমেটোর খপ্পরে পড়ে
ঝাড়ি খাব কিছুক্ষণ।
নির্বোধ বিস্রস্ত খুশকিপোরা চুলে আঙুল চালিয়ে-
আম্মা বলবেন,
“গাধা নাকি তুই, দেখেশুনে-
কিনতে পারিস না?”
উত্তর জেনেও-
বোকাবাক্সের বেদজ্ঞানে ভরপুর আমি,
গটাগট হেঁটে শুয়ে পড়ব আবার,
বালিশে এঁদো কফের ঘ্রাণ নিয়ে।