ভাবের ঘোরে কত কি না মনে পড়ে মনের কোনে
তাই ভাবলাম লেখার চেষ্টা করি, দু এক কলম কবিতার বয়ানে
যাকে নিয়ে পরছে মনে এই, এক্ষণে |
ক্লান্ত দেহে শ্রান্ত হোয়ে যে পথিক
এলিয়ে দিয়েছে দেহ তনু বাস স্টপেজের প্রতীক্ষাসনে |

হয়তো বা সে ক্ষিদের জ্বালায় হারিয়ে ফেলেছে চলার গতি,
কোনো পরিজন হারানো বেদনার সুরে,হয় তো বা
হারিয়েছে সামান্য শরীরের ভারসাম্য,মতি |

কেউ দেখেও না দেখে,বুঝেও না বোঝে
দূর থেকে এড়িয়ে চলে যায়,
কেউ বা সরকারী দূরত্ব রেখে পাশ ফিরে চায় |

কখনও সোজা কখনও ব্যাঁকা
কখনও উপুড়,কখনও চিত্ হোয়ে থাকা
এ পাস ও পাস,এক অস্থিরতা,তবু
নেই কোনো স্বস্তির দেখা |
মাঝে মাঝে চোখ দুটো পিট পিট করে চায়,
হয়তো কোনো প্রিয়জনের মুখ মনে পরে যায়,
বোবার মতো ঠোঁট দুটো নড়তে নড়তে
অবশেষে থেমে যায় |

আধ ময়লা পোষাক পরা দেহটা পড়ে রয়
অচেতন নিথর হোয়ে,
কেউ ধরে না,কেউ যায় না কাছে,
ভয় একটাই, ছুঁয়ে দেয় পাছে |

দূর থেকে এক সাদা গাড়ি ছুটে আসে সাইরেন বাজিয়ে
মহাকাশ যাত্রিপোশাকে গুটি কয়েক মানুষ এসে
ঢেকে দেয় অবাঞ্ছিত মূল্যবান দেহটাকে
কাঁচের মতো মোমের কাগজ দিয়ে যত্ন করে, ভালবেসে |

হাওয়া বন্ধ করা কাচের ঠাণ্ডা বাক্সে তে
কিছু ফুল কিছু গন্ধ ছড়িয়ে তাতে
ছুটে চলে নিথর পথিক বিদায়ের ঘণ্টা বাজাতে বাজাতে |

সকলের ভাবনা মনে মনে গুঞ্জরিত হয় প্রতিক্ষণে
তা হলে কি পথিকের প্রাণটা গেল কোরোনার বাণে !