'
ওগো নদী কোথা যাও
কারো পানে নাহি চাও
কোথা থেকে এলে বলে
কোথা তুমি যাবে চলে
কিছু নাহি বল মুখে
চলিতেছ মহাসুখে
দেশ দেশান্তর ছাড়ি
অনেক দূর দি’ছো পাড়ি
কোথা জন্ম যাবে কোথা
তোমার কি প্রানে ব্যাথা
কিছু কি গিয়েছে চুরি
এনেছ কি ভুড়ি ভুড়ি
বুকে তোমার এত জল
জল করে ছল ছল
কখনো ভেবেছে কেউ
কোথা থেকে উঠে ঢেউ
চন্দ্রের আকর্ষনে
ফুলে উঠে বেগবাণে
ফুলে ওঠো রুদ্রশ্বাসে
দুইপক্ষে প্রতি মাসে
প্লাবিত করে যায় দুকূল।।
বসে বসে ভাবি মনে
উৎস তার কোন খানে
জন্ম কোন পাহাড় হতে
ঠিকানা পারোনা দিতে
অশেষ তার জলরাশি
দুকূল দিয়েছে ভাসি
লাখো লাখো ঢেউ উঠে
মরিতেছে মাথা কুটে
অবগাহন করার ছলে
নামে তার অথৈ জলে
রাখল বালক গণ
ঝাঁপ দেয় করি পণ
সাতঁরায় মাথা তুলে
ওপারেতে যাবে চলে
কত কি বলছি আমি
নির্বাক রয়েছো তুমি
কিছু কি বলিবার নাই?
জলে পাক ঘুরে ওঠে,
শশব্যস্ত হয়ে ছোটে।
পাহাড় ছাড়িয়ে এসে
পড়ে আরেক দেশে।
যেদিকে তাকিয়ে দেখে
নূতন পরছে চোখে।
ধূ ধূ করে চারিদিক,
রৌদেকরে চিক চিক ।
রাখাল বাজায় বাঁশি
মাঠে চাষ করে চাষি,
গায়ের বধু যায় চলে
নদী হতে জল তুলে
ভ্র্রুক্ষেপ নাই কোনো
আপন গতিতে যেনো
চলিতেছে সাগরের পানে।
তুমি বলতে কি পারনা
তোমা’ সুখ-দুখ বেদনা
“ নিরবে দিয়েছো সব
কেন এতো কলরব
ডাকাতের মতো এসে
জল তুলে নিয়ে শেষে
কারখানায় নিয়ে যায়
ময়লাজল দিয়ে যায়
পশুপাখি যত মরা
ফেলেদেয় করি ত্বরা
সব বর্জ জলে ফেলে
নিয়ে তুমি যায় চলে
মনে বড় ব্যথা দেয়
যখন বুকে বাঁধ দেয়
কোন জবাব না দিয়ে
মনের দুখ মনে নিয়ে
যাবে তুমি অবশেষে
সাগরের বুকে মিশে ।
নীল বিছানায় শুয়ে
সব দুঃখ নেবে ধুয়ে।
মনে মনে গেয়ে সুর
সব ব্যথা করি দূর।
চিরদিন চিরনিশি
অতল আদরে মিশি।
উজার করে দেবে
মনে সান্তনা পাবে।
উপকারীর অপকার
করে যেই জন
কৃতঘ্ন হয় সে
বৃথা তার এই জীবন।