কতদিন তোমার চুলে খেলা করেনি আমার আঙুল, তোমার ঘাসে খালি পায়ে হাঁটিনি কয়েকমাস l
তোমার গোপনতায় রাখিনি আমার সিগারেটমাখা ঠোঁট l
হয়তো আর কোনদিন রাখবো না l
বৃষ্টি এলে আমার বুকের ভেতরটা কেঁপে ওঠে
তুমি কাঁদছ বোধহয়,
কিন্তু তুমি তো হাসি ভালবাসো l
বাস্তব হতে চাও,সত্যি বলো সায়নী,
তোমার কি একটিবারের জন্যেও বন্য হতে ইচ্ছে করে না ?
নাকি তুমি ভুলে গেছো কান্না দিয়ে অভিমান ভোলানোর কৌশল ?
তোমার শরীরের দিকে তাকিয়ে আমি মাতাল হয়েছি l
মনের ভিতর সরীসৃপের মতো বুক টেনে লম্পট হয়েছি l
স্বরলিপির ওপারে একটু সুর দিলে কি তোমার বাকযন্ত্র বিকল হয়ে যেত?
আমি জানি না প্রতিশ্রুতির বেড়াজালে মানুষ কিভাবে স্বার্থ খোঁজে, তাই গোপন রাখিনি অন্তরের কাহিনী l
তোমার পায়ের নীচে সঁপেছি শরীর এবং মন l
বলো অন্যায় ছিলো তোমাকে হারানোর ভীতি ?
মনের টানে আর একটিবারও কি ফিরে তাকানো যেত না?
অপলক দৃষ্টিতে আমি কখনও তোমাকে সন্দেহ করিনি l
তোমার বিশ্বাস আমার বুকে সাহারার মতো আজও বিস্তৃত l
অথচ সেসব বিস্মৃতি আমাকে স্বপ্ন দেখায় l
তোমার পাহাড়ের চূড়ায় আমি দাঁড়িয়ে থাকি আমার আলখাল্লা পোশাকে l
লালদীঘির কথা তোমার মনে পড়েনা নিশ্চয় l
আমি চোখ মোছার অছিলায় তোমার পুতুলটাকে আদর করি, তোমাকে ঘৃণা করার আগে আমার মৃত্যু আসুক l
স্টেশনচত্ত্বর জুড়ে দেখো এখনও আমার ছায়া তোমার আশেপাশে,
দেখতে পাবে না হয়তো l
কাল বাঁকুড়ায় ঝড় হয়েছে, আমি কেঁদেছি তাই বৃষ্টিও হয়েছে l
অথচ এটা আমার শহর নয় l
তোমার শহর আমার নিজের তীর্থভূমি l
আমার অস্তিত্বে কালি ছেঁটালে, সেকি তোমার অমর্যাদা নয় ?
আমার অসুখ সেরে যেত যদি তুমি আরও কয়েকবার আঘাত করতে l
শিরায় টান অনুভব করলে তোমার রোমকূপে ষড়যন্ত্র শুরু হয় l
তুমি ডাক্তার হতে চাও,
প্রথম চিকিৎসায় নাহয় আমার মৃত্যুই হতো,
সুখের মৃত্যু l
আড়াই মাস হলো একার পৃথিবীতে বেঁচে আছি l
তোমার নির্মম স্মৃতির অকপট অনুরণন চিরন্তন l
আমার একার বালিশ জানে আমি কতটা কাতর l
আমার মুঠোফোন জানে তোমায় হারানোর ব্যাথা l
তোমায় ছোঁবনা হাজার বসন্ত,
আমার কপালের ঘাম মুছে দেবে না তুমি আর l
আমার শরীরে উষ্ণতা আসবেনা একহাজার শতাব্দী l
কিন্তু তারপর ? কোথায় লুকিয়ে রাখবে তোমার প্রেম?
আসতেই হবে একদিন l
দেখা করতেই হবে l
ঈশ্বর করাবেন হয়তো মৃত্যুর পড়ে l