শ্রাবণের বৃষ্টির মতো ঝমঝমিয়ে তুমি নেমে এলে জীবনে।
সর্বাঙ্গে বিদ্যুৎ খেলে যায় তোমার কোমল হাতের স্পর্শে।
মেঘকালো কেশ রাশির দোলনে ঝড় ওঠে কিশোর হৃদয়ে ।
অবর্ণনীয় পুলক জাগে মনে, ঠিকে যেন পদার্পন নববর্ষে ।

শরতের নীল আকাশে ভেসে বেড়ায় পেঁজা তুলোর ভিড় ,
কাশ ফুল হাতে তুমি অপেক্ষারতা, মন যে বড়ই অধির।
হাতে নকশা মেহেদি আঁকা,পায়ে লাগানো আলতার রং,
খোঁপায় গোলাপ গোঁজা, কাজল চোখে অনুরাগ গভীর ।

হেমন্তের হেম মাখা শিশির রাতে অকারণে জেগে বিছানায়,
নক্ষত্রের সাথে নিদ্রাহীন চোখে স্বপ্ন আঁকি জ্যোৎস্নালোকে।
নীলপরী হয়ে তুমি যেই মায়াবী দৃষ্টিতে চোখ মেলে তাকালে,
গাছের কোঠরে বসা লক্ষী পেঁচা মুখ ঢাকে ডানার পালকে।

পলাশের বনে বসে দুজনে,রাঙা আগুন লেগেছে সমতলে,
তোমার সান্নিধ্যে মরা নদীতে যেন হঠাৎ ডেকে ওঠে বাণ।
আমার সর্বাঙ্গ জুড়ে তোমার শরীরের মাতাল করা সুগন্ধ ,
বসন্তের বাতাসে ভেসে আসে কোকিলের কন্ঠে মধুর গান।