আমি সেই ছেলে; সেই ছেলেটা সাধারণ ছেলে
সাধারণ ছাত্র হয়ে সাধারণ ছাত্রদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
রাস্তায় নেমে ছিলো -
আর বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে রাস্তায়।

আমি সেই ছেলে
যাঁর রক্তে আজ রঞ্জিত রাষ্ট্রের রাস্তাঘাট
ভারাক্রান্ত মানুষের মন
আমার বদৌলতে আমার ভাই-বোন
আজ আমার ভাইয়েরা-বোনেরা
অধিকার আদায়ের স্পৃহায় আজ অকুতোভয় দুঃসাহসী সৈনিক-

আমি সেই ছেলে
যে এতোটুকু কার্পন্য করেনি বুকের রক্ত দানে
আমার বুক থেকে অবিরল ধারার মতো
যে রক্তের ধারা গড়িয়ে গিয়েছে পিচঢালা রাস্তার উপর দিয়ে
সে রক্ত ধারায় আজকে হয়েছে রক্তবীজের জন্ম-
রক্তবীজ কি কখনো বিনষ্ট হয়?

রক্তবীজ কেবলই রক্ত দানের মরিহা হয়ে অঙ্কুরিত হয়ে
জন্মাতে থাকে হৃদয় থেকে হৃদয়ে
প্রান্তর থেকে প্রান্তরে, দেশ হতে দেশান্তরে
রক্তবীজের অঙ্কুরিত শাখায় জন্মায় অকুতোভয় মৃত্যুঞ্জয়ী
আজ তারা শ্লোগানে শ্লোগানে অগ্নিশিখা হয়ে জন্মায়
সে অগ্নী শিখা পুড়িয়ে ‍দিতে পারে শাসকের ঘোছানো শোষন যন্ত্র
দেশকে মুক্তি দিতে পারে লুণ্ঠনের জিহম্মায় হতে।
ফিরিয়ে দিতে পারে মায়ের মুখের হাসি
কমিয়ে দিতে বাবার বুকের ভার
বুঝিয়ে দিতে পারে কতটুকু অধিকারে ছিলো স্বাধীনতার স্বাদ।