আমার শরীর থেকে রক্ত ঝরে, নিবে যায় আলো
অনেকেই বলবে এটা নারীর দোষ; ওরা পশু নই।
আমি গলা ফাটিয়ে চিৎকার করি, কেউ শোনে না,
যন্ত্রণায় আমার দেহ ছিঁড়ে যায়, কেউ দেখে না।
রাতের আঁধারে ঝরা পাতার মতো
আমি পড়ে থাকি—নিষ্পলক, নিঃশ্বাসহীন।

আমার এমন নিঃসাড় অবস্থা চাঁদ কি দেখেছিল?
সেও কি চোখ ফিরিয়ে নিয়েছিল
ওই শকুনের চোখের মতো মুখগুলো দেখে?
ওই শকুনেরা নির্লজ্জের মতো
হাত বুলিয়েছে আমার সমস্ত শরীরে,
খাবলে খেয়েছে আমার বুকের জন্মানো মাংসপিণ্ড
যে বুক আমি স্বযত্নে আড়ালে রেখেছিলাম সভ্যতা থেকে।

আমার এই করুন অবস্থা দেখে হাওয়া কি কেঁদেছিল?
নাকি সেও আমায় ফেলে গিছে রক্তমাখা মাটির উপরে?

আমি কি বেঁচে আছি, না মরে গেছি?
কেউ তলিয়ে দেখে না; কেউই দেখতে চায় না।
এই শরীর কি আমারই?
নাকি এক টুকরো ছেঁড়া কাপড়,
যা ওরা ছুঁড়ে ফেলেছে পথে?

তোমরা কেউ কি উপযুক্ত বিচার পাইয়ে দেবে?
নাকি তোমরা শুধুই শিখিয়ে দেবে
কীভাবে লজ্জা নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়?
আমি বিচার চাই না,
আমি শুধু চাই—
আমার চিৎকারটা একবার পৃথিবী শুনুক! যন্ত্রণাটা বুঝুক।