আমাদের দুরত্ব বেড়েছে বহুদিন,
তবুও প্রতিদিন তোমাকে বলি—
আমাকে ভুল প্রমাণ করো,
নাহয় ললাটে চুম্বন এঁকে আপন করে নাও।
আমাকে একটু ভালোবাসতে দাও,
নাহয় জানতে দাও—
কি ছিল আমার ভুল, কোথায় ছিলো খামতি?
একটা স্বপ্ন দেখা রাতের গল্প বলো,
যে গল্পে জীবন রঙিন প্রচ্ছদে মোড়ানো।
নাহয় বলো, তপ্ত দুপুরের সেই আলিঙ্গনের কথা—
যখন নিঃশব্দে কেঁপে উঠত হৃদয়,
আজ আমার বিমর্ষতা ভিজে যাচ্ছে
বৃষ্টিভেজা কচিপাতার মতো, উদাসীনতায়।
অশ্রু কখনও স্থায়ী হয় না—
চোখের গভীরে টলমল করে,
তারপর ঝরে পড়ে,
তোমার নাম ধরে চিৎকার করে।
আমি আজ পৃথিবীর এমন প্রান্তে,
যেখানে অনুভব আগ্নেয়গিরির জ্বলন্ত মুখ।
জ্বলে-পুড়ে ছাই হয় হৃদয়,
কিন্তু হারায় না তোমার স্মৃতি।
পথে পথে বয়ে বেড়াই—
দুঃখ, আনন্দ, বেদনা আর তোমার ভালোবাসা।
তুমি ছিলে হঠাৎ আসা এক দমকা হাওয়ার
তুষার বিন্দু, ক্ষণস্থায়ী তবুও ভয়ংকর প্রভাবশালী।
তোমার ছোঁয়া ছিলো যেন বিশাল এক পাথরের টুকরো,
ঝরে পড়া তুষার কণার ছদ্মবেশে।
কি ভুল ছিলো আমার?
কি অপরাধ?—প্রমাণ দাও।
আজ আমার আকাশ শূন্য, বাতাস বিষাক্ত,
অক্সিজেন হারিয়ে ফেলেছে তার জীবনদায়ী স্পন্দন।
তোমার গর্জনে ছিন্নভিন্ন হয় স্বপ্ন,
রয়ে যায় কেবল ধুলো আর নিরব কান্না।
তবুও বলি—
ললাটে এক চুম্বন এঁকে, আবার
আপন করে নাও আমাকে...