(কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য মারা গেছিলেন ২১ বছর বয়সে। আর আমার বয়স ১৬ বছর। কবিতা রচনার সময়ে অর্থাৎ গত বছর আমার বয়স ছিল ১৫ বছর। তাই আমি যে সম্মান ও ভালবাসার সঙ্গে কবিকে "দাদা" বলে সম্বোধন করেছি, আশা করি এ ব্যাপারে কেউ সমালোচনা বা হাসাহাসি করবেন না।)

সুকান্তদা,
তুমি একদিন বলেছিলে ---
"...যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ,
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব..."
দুঃখিত,
সেটা আর হল না।
নারীদের মতন
শিশুরাও অত্যাচারিত হচ্ছে।
ছোট বয়সে তাদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে ---
হচ্ছে শিশু শ্রম।
পড়াশুনা করতে দেওয়া হচ্ছে না।
কিছু মা-বাবারা
তাদের কেবল ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার হতে জোর করাচ্ছে।
তারা যদি ডাক্তারি/ইঞ্জিনিয়ারিং না করে
অন্য কিছু করতে চায় ---
গান গাওয়া,
নাচ করা,
ফুটবল ক্রিকেট খেলা,
মা-বাবারা বিশ্বাস করছে না।
চাইছে না যে তারা
ডাক্তারি/ইঞ্জিনিয়ারিং বাদে যেন অন্য কিছু করুক।
তাদের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হচ্ছে।
কিছুজন অভিমানে আত্মহত্যা করছে।
অন্যদিকে,
বোমার বিস্ফোরণ ঘটছে তো ঘটছেই,
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি
জখম হচ্ছে শিশুরাও।

সুকান্তদা,
আমার মুখে সব তো শুনলে।
তুমি তো সত্যিই বলেছিলে ---
এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে তুলতে হবে।
যখন এ দেশে, এ বিশ্বে
শিশুদের ওপর এতই অত্যাচার,
পৃথিবীকে কি করে শিশুর বাসযোগ্য করে তোলা যায়?
তুমি যদি বেশিদিন বেঁচে থাকতে,
তাহলে তুমি বেশি বেশি কবিতা লিখে যেতে পারতে।
তোমার কবিতায় প্রতিবাদ আরো সোচ্চার হতো।
তোমার বলে যাওয়া কথা সত্যি হতো,
তাহলে এ পৃথিবী হয়ে যেত শিশুর বাসযোগ্য।
ফিরে এসো সুকান্তদা
প্রতিবাদের নতুন ভাষা নিয়ে,
বিপ্লবের স্বপ্ন নিয়ে,
গণসংগীতের সুর নিয়ে
ফিরে এসো কবি,
ফিরে এসো, ফিরে এসো.......।
আমাদের সমস্যার সমাধান তুমিই করে দিতে পারো।


(২২.০৩.২৩)