(সকলকে বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
আগেও বলেছি, আবার বলছি, আমার কবি-কল্পনায় কোভিড ছিল "করোনাসুর"। আমরা শুধু করোনাসুর নয়, যারা মেয়েদের খুন ধর্ষণ করে সেইসব মানুষরূপী অসুরদেরও নিধন চাই। পুজোর শেষ লগ্নে এটাই হোক প্রার্থনা)

উৎসবের শেষ।
মন খারাপের বিষাদ।
মা দুর্গার নিজেদের সন্তানদের সঙ্গে করে নিয়ে
শ্বশুরবাড়ি ফেরার পালা।
মাকে বিদায় জানাতে গিয়ে সবার শুধুই মন খারাপ।
বেজে ওঠে বিদায়ের সুর।
দুর্গাকে পেয়ে মহাদেবের বেজায় খুশি হবার পালা।
বছর শেষে উৎসবের মরশুমে
আবার আসবেন মা
এই পৃথিবীকে অন্ধকারের হাত থেকে বাঁচাতে।

শান্তি মনে যাও মা তুমি।
মর্ত্য সামলে নেবার দায়িত্ব আমাদের —
স্বর্গ থেকে দেখবে তুমি,
ভালো কিছু হলে মেতে উঠবে খুশিতে,
আর খারাপ কিছু হলে ভয়ঙ্কর রেগে যাবে,
আমরা ভয়ে কেঁপে উঠব।
এভাবেই চলে মোদের জীবন তোমার সঙ্গে।

তুমি মোদের সবার মা।
ত্রিনয়নী মা। সর্বজয়া মা। সর্বজনীন।
তুমি না থাকলে
কত অন্ধকারে আমাদের মন ভালো লাগে না,
আমরা শুধু কাঁদি।
তুমি না থাকলে
কোনো কিছু ভাবতে পারি না,
করতে পারি না, থাকতে পারি না।
দুর্যোগে, দুঃসময়ে তোমার আশীর্বাদ
সর্বদাই আমাদের সাথে আছে।
তোমার মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে
লড়াই করার পণ করি,
ভরসা রাখি তোমারই উপর।
তুমি মোদের সবার,
কল্যাণময়ী, মমতাময়ী, আমাদের প্রিয় মা।

পরের বছর তুমি আবার এসো,
করোনাভাইরাসের মতো দুর্যোগকে শেষ করে
শুভশক্তির উদয় ঘটাও,
লাঞ্ছনার ঘটাও অবসান।
আসছে বছর, আবার হবে
আগের মতো আনন্দের দুর্গাপূজা।
বিষাদ ভুলে আমরা মাতবই।
নতুন সকালের অপেক্ষায় আজও, আজীবন।


(১৫.১০.২০২১
বিজয়া দশমী ১৪২৮)