(*"গৌড়বঙ্গ" অর্থাৎ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়)
দু-তিন দিন ধরে শিরোনামে আসছে
মালদার গৌড়বঙ্গের* নাম।
অশোক তনুশ্রীর গলায় ছুরি মেরে
নিজেকেও মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে।
সংকট এখনো কাটেনি।
তনুশ্রী এখনো আতঙ্কিত, ভীত সন্ত্রস্ত
পরীক্ষার চিন্তায়, নিরাপত্তাহীনতায়।
সম্পর্ক ভেঙেছে বলে, সন্দেহ বেড়েছে বলে
অশোক নাকি তনুশ্রীর হাত ধরে টানাটানিও করেছিল আগে।
কেউ ভাবতে পারেনি,
কলকাতার ছেলে হয়ে আমিও ভাবতে পারিনি—
মালদায় এমনটা হতে পারে।
আসলে মালদা বা কলকাতায় নয়, সব জায়গায়।
এমনটা হয়ে থাকে, হয়েই থাকে।
এতই যদি সন্দেহ আর ঘৃণা, তবে মুখে বলা ছেড়ে
মিছে গলায় ছুরি মারা কেন?
প্রেম করা, প্রেমে পড়া, প্রেমের গান গাওয়া কেন?
Immature ছাত্ররা কেন প্রেম করবে?
প্রেম সম্পর্কে শিক্ষা কেন দেওয়া হবে না?
তোমরা কি সেই গানটা শুনেছ—
"সখী তোরা প্রেম করিও না"?
তবু তোমরা প্রেম করো কেন?
রূপম ইসলামের সেই গানের কথা—
"সখী ভালোবাসা কারে কয়?
ভালবাসা মানে শুধু অভিনয়..."
তবু কবিরা প্রেমের কবিতা লেখেন কেন?
এই নষ্ট প্রেম নিয়ে এত মাতামাতি কেন?
ফাজলামোর সীমা বেড়েই যাচ্ছে,
ভেঙে যাচ্ছে এ সুশীল সমাজ।
তবু অসভ্য জানোয়াররা প্রেম করবে, বিচ্ছেদ ঘটাবে
আর রচিয়ে দেবে যত তাণ্ডব।
ছিঃ অশোকরা, ছিঃ!
ধিক তোমাদের, তোমাদের মানসিকতাকে।
হায় তনুশ্রীরা,
আমরা দুঃখিত তোমরা প্রতারিত হয়ে চলেছ,
হারিয়েছ নিরাপত্তা, সামাজিক মান সম্মান।
এ কথা খুবই স্পষ্ট—
প্রেম সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর, এতে সম্মানহানি হয়।
তাই বলি গানের সুরে—
"সখী তোরা প্রেম করিও না।।"
(২৮/০৭/২৪)
মালদা