(১৪ই নভেম্বর শিশু দিবস উপলক্ষে লেখা। অবশ্য ওই দিন পেরিয়ে গেছে। তাই একটু দেরিতে কবিতাটি প্রকাশ করলাম।)
যারা বলেন, শিশুরা ফুলের মতো,
তারা ঠিকই বলেন।
যারা শিশুদের ফুলের সাথে তুলনা করেন,
তারা ঠিকই করেন।
শিশুরা সত্যিই ফুলের মতো।
ওদের সঠিকভাবে রোপণ করলে তবেই
ওরা পারবে সুন্দর করে তুলতে এই বিশাল বাগানকে।
পণ্ডিত নেহরু বলেছিলেন,
"আজকের শিশুরা কালকের বিশ্ব গড়বে।"
আমার প্রশ্ন — "কী ভাবে?"
আজকের শিশুরা বিগড়ে গেছে
কিছু শয়তান মানুষদের দ্বারা—
কিছু অভিভাবক, কিছু নেতা, কিছু শিক্ষক—
তারা মাঝে মাঝে ওদের দিয়েই শিশুশ্রম করে,
ওদের মধ্যে প্রোজেক্ট করার,
বড় stream নেওয়ার,
বড় কিছু হওয়ার চাপ তৈরি করে,
ওদের এতটুকুও সময় দেয় না
একটু স্বাধীনতা উপভোগ করার।
ওরা চাইলে অভিভাবকরা ওদের মোবাইল দেয়।
সেটাই হয় ওদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হওয়ার কারণ।
Instagram, Snapchat, social media —
— শুধু cringe videos.
এখন বেশিরভাগ বাচ্চারা দেশের সেবক হওয়ার স্বপ্ন দেখে না।
স্বপ্ন দেখে social media influencer হওয়ার,
কোটিপতি হওয়ার।
আর কিছু চাইলে চায় শুধু
লাখ লাখ টাকার আইফোন, গাড়ি,
কোটি কোটি টাকার বাংলো,
পার্টিতে মদ, সিগারেট, মেয়ে।
এছাড়াও, আত্মহত্যা, খুন, ভ্রুণহত্যা—
বড়রাই এসবের জন্য দায়ী।
বলো তো,
এভাবেই কি শিশুরা ভবিষ্যৎ পৃথিবী গড়বে?
শিশুমৃত্যু, শিশুহত্যাই কি পণ্য?
"আলোকিত ভবিষ্যৎ" বলে কিছুই হয় না।
দেশের ভবিষ্যৎ, নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ
এখন ঘনঘোর অন্ধকার।
তাই, এই শিশু দিবসে
শিশুদের জন্য নাচ-গান করে,
শিশুদের ভালো-মন্দ খাইয়ে দাইয়ে
কিচ্ছু হবে না। কখনোই না।
শিশুরা যেমন আছে, তেমনই থাকবে।
প্রমাণ পেলে, শিশুরা সত্যিই ফুলের মতো?
ওদের সঠিকভাবে রোপণ না করলে
এখনকার মতো অবস্থাই হবে,
এই বিশাল বাগান হয়ে উঠবে মাধুর্যহীন।
বড়রা বুঝবে না।
তারা শিশুদের স্বৈরাচারীর মতন শাসন করছে তো করবে।
(12.11.23)
কলকাতা