(এই কবিতার মূল বিষয়: দুর্গাদের তথা নারীদের সহ্য করা অকথ্য নির্যাতন। যেমনটা ঘটেছে আর জি করে। এই নির্যাতন শুধু কলকাতায় সীমাবদ্ধ নয়। এমনটা যুগ যুগ ধরে হচ্ছে এই পৃথিবীতে। আমরা সবাই দেখেছি, পড়েছি ইতিহাসের পাতায়। এই কবিতাটি আমার সেই অকথ্য নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবেই চিহ্নিত হোক)
এবার আর উৎসবের আনন্দে মাতামাতি নয়,
এবার আর আনন্দের গান গাওয়া নয়।
বরং— মায়ের কাছে ক্ষমা চাওয়া।
মা সকলের — ছেলেদের, মেয়েদের।
আমরা তার পূজা করি,
কিন্তু তার মনের কোনো খবর রাখি কি?
তার জীবনে সুখ নেই,
শুধু মায়া, অপমান, অত্যাচার।
মা অত্যাচারিত মণিপুরে,
মা অত্যাচারিত বাংলায়,
মা অত্যাচারিত হরিয়ানায়,
মা অত্যাচারিত সারা ভারতে, সারা পৃথিবীতে।
কেউ তার ভালবাসা সহ্য করতে পারে না।
কেউ তার ভালো কথা সইতে পারে না।
কেউ তার জীবন সংগ্রাম সইতে পারে না।
সবার কাছে তিনি শুধুই প্রায়োরিটি।
তবে কেন আমরা মায়ের পূজা করছি?
কেন পূজার গান গাইছি উন্মাদ কণ্ঠে?
হে জগৎজননী,
আমাদের ক্ষমা করো।
আমরা বুঝতে পারিনি তোমার মনের ব্যাকুলতা।
আমরা বুঝতে পারিনি তোমার ভালবাসার প্রতি মায়া।
আমরা মুক্ত করতে পারিনি তোমায়।
আমরা তোমায় স্বাধীনতা দিতে পারিনি।
তুমি গর্জে উঠেছো,
পথে নেমেছো
আইন অমান্য আন্দোলনে,
অসহযোগ আন্দোলনে,
নারীবাদী আন্দোলনে।
কিন্তু তথাকথিত মানুষ কি দিয়েছে তার মূল্য?
ক্ষমা করো জননী।
ক্ষমো মোদের।
(০৩/০৯/২৩)
কলকাতা