[সৌজন্য— গান সমগ্র ১ (রূপম ইসলাম)]
গিটারের তোড়ে বিপন্ন আরও অনেক মুখ
ভেঙে যাক ভেঙে যাক রূপম গেয়ে চলে।(১)
তার গান নিয়ে যাচ্ছেতাই বলে বলুক লোকে,
রূপম চোখে ধুলো দেয় অন্য প্রতিবাদ-ছলে।
প্রতিষ্টান বিরোধীতায় হরিদাস(২) কম যায়নি,
তবু অজানা— মানুষ কেন নামিয়েছিল মঞ্চ থেকে?
কোন লোকে(৩) বলেছিল, তাঁর গান নাকি খুবই খারাপ!
"বাংলায় রক হয় না" তাই? তবে আজ নে দেখে!
তোরা দেখ শালা! রূপম আজ কোথায় দাঁড়িয়ে,
এবং তোরা কোথায় আছিস আর ছিলিস কোথায়!
দেখ তোরা, মানুষ আজ কত ভালবাসে তাঁকে,
প্রতি কনসার্টে, এককে "রূপম রূপম" বলে চেঁচায়।
এই যে শোনা যায় রূপমের বাঘের মতো চিৎকার,
এটা শুধু নয় তো চিৎকার, এটা বহিঃপ্রকাশ
যত আগুন-জ্বলা ক্ষোভ আর মন-ভাঙানো বেদনার,
তাল মেলায় গিটার আর ড্রাম সেট, সাক্ষী ইতিহাস।
গান শুনতে শুনতে আনন্দে করি হেড ব্যাংগ্,
বিশ্বাস জাগে প্রতিবাদের, চোখ ভেজে জলে।
যত ভণ্ড সাধু শত্রুদের মুখ পুড়ে কালো হোক,
ওদের গালে থাপ্পর মেরে রূপম গেয়ে চলে।
(প্রচলিত) ধারণাকে ভুল ব'লে রূপম গেয়ে চলে।
আজ মানুষের ভালবাসা পেয়ে রূপম গেয়ে চলে।
(বিঃদ্রঃ
(১) প্রথম অংশটি লিখেছিলেন "বর্ণাপেরণ" পত্রিকার সম্পাদক শান্তনু রায়
(২) "হরিদাস" বলতে "হরিদাসের ডানা", যা "ফসিল্স"-এর আগে ১৯৯৪ সাল থেকে রূপম ইসলামের একটি ব্যান্ড ছিল
(৩) "কোন লোকে" বলতে এক স্টুডিয়ো মালিক। তাঁর প্রসঙ্গে রূপম "গান সমগ্র ১" বইয়ের সূচনার একটি অংশে লিখেছিলেন:
"এক সপ্তাহ পর আমি এবং বাচ্চু রিপোর্ট আনতে গিয়ে শুনি— আমার গান খুব খারাপ। খুব খারাপ মানে খুবই খারাপ। উনি অনেক এক্সপেক্টেশন নিয়ে শুনতে বসে বড্ড হতাশ হয়েছেন। লোকটি সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা বলেছিল... দুটো গান থাকা ক্যাসেটকে খারাপ বলছে কে? না ওই ছেঁদো গানের ব্যান্ড অ্যালবাম প্রকাশ করা ভদ্রলোকটি... তাঁর নাম আমার কিছুতেই মনে পড়ছে না। নিশ্চয়ই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে নামটি।")
জ য় র ক