যদি করতে চাও প্রতিবাদ গানে গানে,
তবে করতে হবে শুধু বাংলা রক।
রক থেকেই বেরিয়ে আসে যত আগুন,
রক শুনলেই গায়ে লাগে ইলেকট্রিক শক।

তোমার ইচ্ছে হবে জোরে মাথা ঝাঁকাতে,
অথবা নাচতে, বুক ফুলিয়ে গাইতে গান।
তোমার শিরায় শিরায় হবে রক্ত গরম,
উদ্বেলিত হয়ে উঠবে তোমার জ্যান্ত প্রাণ।

মৃদঙ্গ, ভায়োলিন, বাঁশিতে কী হবে?
ওতে শুধু পাবে তুমি সুরেলী মিষ্টতা।
পাওয়ারফুল ড্রামসেট, ইলেকট্রিক গিটার—
এখানেই টের পাবে প্রতিবাদের মাদকতা।

সবাই রক-কে সিরিয়াসলি নেয় না,
তবু রক তো গানেরই এক ধরণ।
রক শুধু গান নয়, এক আসক্ত করা মাদক,
প্রতিবাদী মানুষ গড়ার এক ইঞ্জেকশন।

এক ডোজ় নিলেই তার প্রভাব চিরস্থায়ী—
"মনে আগুন, বনে ফাগুন", মাথায় ঝাঁকুনি,
গিটার সোলো, বজ্রের সুরের মাঝে চিৎকার—
হার মানতে পারে যত সঙ্গীতশিল্পী গুণী।

আমি রক শুনতে শুনতে মাথা নাড়াই—
সমাজ যতই "পাগল" বলুক আমায়,
"আমি যদি পাগল না হতাম, বাংলা
রক হত না," কথাটা বলতে হয়।

যদি বলো, রক সঙ্গীত অপসংস্কৃতি,
তবে ভুল, তুমি রকের মানে জানো না।
প্রতিবাদী গান মানেই রক সঙ্গীত,
গানের এই নতুন তত্ত্ব তুমি মানো না।

তবু জেনে রাখো, রক তোমার আমার,
রক সবার, রক সঙ্গীত সর্বজনীন।
যদি ইচ্ছুক হয়ে থাকেন, তবে আসুন,
এই রক কালচারে যোগ দিয়ে দিন।

জ য়  র ক


(০১/০৭/২৪)