কবিগুরু,
"মনে পড়ে আপনার,
সেই ফটিককে নিয়ে আপনি গল্প লিখেছিলেন?
এখন
আমিও যেন ফটিক হয়ে গেছি—
মা-বাবার কাছে বকা খাই,
মার খাই,
শিক্ষকরা শাস্তি দেয়,
বন্ধুরা গালি দেয়—
গর্দভের মতো সব সহ্য করি
(কিন্তু মানিয়ে নিতে পারি না)।
আমি জানি —
সময়ের সাথে সাথেই পরিবর্তন ঘটে।
"সময় হল পরিবর্তনের সম্পদ"—
আপনি নিজে বলেছিলেন।
আমারও হয়েছে তাই,
সকলেরই হয়,
কিন্তু কেউ সেটাকে প্রশ্রয় দেয় না।
গালি দিতে থাকে,
বলতে থাকে—
"তোর কিচ্ছু হবে না।"
আমার মতো প্রতিটি ছেলেরাই
ফটিকের সাথে নিজেদের তুলনা করতে পারে।
মনে মনে ভাবনা আসে—
একটা "ছুটি" চাই—
সেই "ছুটি"ই হবে সবচেয়ে ভালো ছুটি —
পাপিষ্ঠ পৃথিবী থেকে ছুটি।
সেই "ছুটি"তে আনন্দ আছে,
শান্তি আছে,
স্বাধীনতা আছে—
যেগুলো এখানে নেই।
এখানে শুধু আছে পরাধীনতা,
তুচ্ছতা,
প্রেমহীনতা।
কত শিশু চায় নিজেদের মতো করে বাঁচতে।
এভাবে বেঁচে থাকা সহজ নয়।
তবু, শত চাপ ভুলে শুধু
মানুষের মনের খবর রেখেছিলেন আপনি—
কবিতায়, গল্পে— সাহিত্যে।
সেই খবর কত যে বেদনাদায়ক,
তা কেউ হয়তো বুঝবে না।
আমরা বুঝে নেব।
ধন্যবাদ কবিগুরু,
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি পেরেছিলেন মানুষের কথা বলতে।
মানুষ বুঝতে পেরেছে নিজেদের সুখ-দুঃখ
আপনার লেখায়।
আমরা যতদিন বাঁচব,
যেদিন মরব,
সেদিন ভোলা যাবে না আপনার সৃষ্টি।
আমি "ছুটি" গল্পে খুঁজে পাই নিজেকেই,
বুঝতে পারি—
আমিও যেন ফটিক হয়ে গেছি।
ধন্যবাদ কবিগুরু আমার মনের কথা বলার জন্য।
ধন্যবাদ, ধন্যবাদ....."
ইতি
আপনার ভক্ত
সায়ন
(১০.০৫.২৩)
২৬শে বৈশাখ ১৪৩০