(১০০ গ্রাম ওজনের জন্য অলিম্পিক্স থেকে বঞ্চিত বিনেশ ফোগাতের কথা মাথায় রেখে
এ রকম অনেক বঞ্চনা সমাজে দেখা যায়)
তুমি কি থাকতে চাও এ সমাজে?
তুমি চাও সমাজের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে?
তুমি চাও হতে সামাজিক? সমাজ-সচেতন?
তবে মানতে হবে তোমাকে কিছু নিয়ম।
এই নিয়মগুলি বাধ্যতামূলক।
না মানলে তো তোমায় বঞ্চিত হতেই হবে।
তোমাকে মানতে হবে ধর্মে, ঈশ্বরে।
তোমাকে হতে হবে স্বচ্ছ ধার্মিক, আস্তিক।
তুমি আর কোনো ধর্মকে ভালবাসবে না, প্রশ্রয় দেবে না।
বরং তোমাকে করতে হবে ধর্মীয় শাসন।
এমন শাসন করতে হবে,
যাতে অন্য ধর্মগুলো খারাপ কিছু মনে করে
আর দেশ ছেড়ে চলে যায়।
ওরা থেকে যাক অনুপ্রবেশকারী হয়ে।
যদি তুমি মেয়ে হও,
তবে তোমাকে পুরুষের কথা শুনতে হবে,
পুরুষের সাথে চলতে হবে।
তুমি কিচ্ছু করতে পারবে না—
না পড়াশুনো, না নিজের মতো করে বাঁচা,
সংসার করা, ধর্ষিতা হওয়া ছাড়া।
তোমার কোনো অধিকার নেই এ সমাজে।
তুমি শুধু পোষা কুকুর-বিড়ালের মতো বাঁচো।
তুমি যদি এ সমাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে যাও,
তবে তুমি আর বাঁচবে না।
তোমাকে জেল খাটতে হবে, মার খেতে হবে, মরে যেতে হবে।
তোমার কোনো অধিকার নেই। থাকতে পারে না।
তুমি কোনো খেলায় নামতে চাও
তো ওজন তোমার কম থাকতেই হবে।
নইলে তুমি বিনেশ ফোগাত, disqualified.
তুমি না পাবে medal, না পাবে সম্মান,
শুধু বেইজ্জতি। গজব বেইজ্জতি।
যদি সমাজে থাকতে হয়,
বঞ্চনা তো সইতেই হবে,
বঞ্চিত হতেই হবে।
এটাই নিয়ম।
(০৭/০৮/২০২৪)