কিছুদিন আগে স্কুলে শেষ ক্লাসে
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক দাঁড় করিয়েছিলেন আমাদের
এক কঠিন প্রশ্নের সামনে—
"প্রধানমন্ত্রী হলে কী করতে?"
আমি বলেছিলাম — প্রধানমন্ত্রী হলে
সোশ্যাল মিডিয়া বাজেয়াপ্ত করতাম
এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্বপ্ন পূরণ করতাম—
সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে কারখানা, লক্ষ লক্ষ চাকরির পুনর্মূল্যায়ন।
বাকিরা কী বলেছিল, মনে নেই।
কিন্তু স্যার কারোর কথাকেই সমর্থন করেননি।
তিনি বলেছিলেন —
প্রধানমন্ত্রী হলে সবার প্রথমে
দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিকে তাকাতে হবে
এবং তা কমানোর কথা ভাবতে হবে।
জনসংখ্যার কথা আমাদের কারোর মনে ছিল না,
না থাকারই বোধহয় কথা ছিল।
সবাই কি সবকিছু ভাবতে পারে? না।
আমরাও ভাবিনি, ভাবতে পারিনি,
তাই বলতে পারিনি জনসংখ্যার কথা।
এ তো অস্বাভাবিক কিছু নয়।

গতকাল পুরোনো খাতায় বানিয়েছিলাম
প্রধানমন্ত্রী হলে কী কী করতাম তার তালিকা।
সবার প্রথমে — সেই জনসংখ্যা...
তারপর সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করা;
যুবদের মধ্যে মাতৃভাষার জন্য আন্দোলন করা;
যে অভিভাবকরা বাচ্চাদের জোর করায়
সায়েন্স নিয়ে পড়তে, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে,
যে গ্রামের মানুষ এখনো মনে করে —
কন্যাসন্তানের জন্ম একটা পাপ,
আর যে নেতারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে
এবং সংবিধান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে থোড়াই কেয়ার করে,
সেইসব মানুষদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া;
এবং দারিদ্র হটাতে কিছু করা।
কিন্তু এই কথাগুলো লেখা হয়নি—
বেকারত্ব হটানো; এ রাজ্যে কারখানা বানানো;
পথের কুকুর বিড়ালদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় বানানো;
গণতন্ত্র চিরতরে রক্ষা করা;
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা;
কলেজ ক্যাম্পাসে ragging, অশ্লীলতা,
সিনেমায় ছাপরিগিরি, সিগারেট, মদ নিষিদ্ধ করা
(নিউ জিল্যান্ডের মতো দেশে যেমন);
এ রাজ্যে বহিরাগতদের আধিপত্য রুখে দেওয়া...
ইত্যাদি ইত্যাদি।।

এবার বলো কেউ, সমর্থন করো কি এইসব কথাগুলোকে?
এটা ব্যস আমার প্রচেষ্টা।


(২০/০৫/২৪)