রাস্তার কুকুর-বেড়ালদের ডাকাডাকি
খুব বিরক্ত লাগে লোকেদের।
তাঁরা তো সঙ্গে সঙ্গে বাইরে এসে
নিজেদের ধরণে তাড়ায়,
কিন্তু তাঁরা কি জানে
ওদের জোরে ডাকাডাকি করার কারণ?
তাঁরা কি এটা জানে---
যে কোনো অশুভ সংকেত এলেই
সঙ্গে সঙ্গে ওরা জোরে জোরে ডাকে?
কিন্তু কেউ তো সেই সংকেতটাকে
দেখতে পায় না,
শুনতে পায় না,
তাই তাঁরা এতটা নিষ্ঠুর।
তাঁরা কি জানে,---
মানুষের থেকে ওদের বুদ্ধি কত?
ওদের শিক্ষা কতখানি?
প্রতিটা জায়গায় যখন
লোকেরা এই করোনাতে নিয়ম অমান্য করে দাঁড়িয়ে থাকে,
তখন তো ওরাই এখনকার নিয়ম মেনে চলে।
ওরা আসলে আমাদের কাছ থেকে
সবকিছু শুনেই কাজ করে থাকে,
তা আবার উপস্থিত বুদ্ধি ও শিক্ষা দিয়ে।
আমাদের যদি এসব না থাকে,
তাহলে ওদের নিয়ম মানা থেকে
কিছু শেখা উচিত,
নিয়ম অমান্য করার জন্য
ক্ষমা চাওয়া উচিত কারোর কাছে।
এইজন্যেই বলে,---
পশুরাই সবথেকে বেশি শিক্ষিত,
সবথেকে বেশি বুদ্ধিমান।
আমরা কেউ তো ওদের মতো অতটা বুদ্ধিমান নই,---
কারণ আমাদের মধ্যে আছে
নিষ্ঠুরতা, মূর্খতা, আর কত কি!
পশুরাই ভগবানের সবথেকে মহান সৃষ্টি,
মোদের সবথেকে বড় শিক্ষক ও দূত।
আগে পশুদের কাছ থেকে কিছু শেখা উচিত,
তারপর যা করার করতে হয়,
কিন্তু অবশ্যই বুদ্ধি ও শিক্ষার সঙ্গে।
পশুদের অসম্মান করা খুব কঠিন,
ওদের সঙ্গে যাই করি না কেন, সব কঠিন।
পশুদের ভালবাসতে হয়, সম্মান জানাতে হয়।
(১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২১)