পুজোর সময়ে একটা খবর শুনেছিলাম —
এবারের শব্দবাজির আওয়াজ
৯০ ডেসিমেল থেকে ১২৫ ডেসিমেলে বেড়েছে।
সেদিন থেকে আমি বুঝেছি—
এবছরের দীপাবলি কেমন হতে চলেছে।
কালীপূজা মানেই সবে মিলে বাজি ফাটানোর আনন্দ।
যারা বাজি ফাটাতে এত অভ্যস্ত,
তারা কেন ভুলে যায়,
এতে মানুষের কত সমস্যা হতে পারে?
Heart disease, lung cancer,
ঘুমের ব্যাঘাত, পড়াশোনায় বিরক্তি।
সামনে আমাদের অগ্নিপরীক্ষা— board exam.
এই দীপাবলির সময়ে পড়াশোনাটা ঠিক করে হবে না
বাজিপটকার তুমুল আওয়াজে।
যারা বাজি ফাটাতে এত অভ্যস্ত,
তারা বেপরোয়া, কারোর কথা ভাবে না।
মানুষ, তোমরা একটা কথা বলো—
দীপাবলিতে প্রতিটি ঘরে ঘরে
প্রদীপ, মোমবাতির আলো জ্বালতে
কী অসুবিধা তোমাদের?
তোমরা ভাবো—
উৎসবের সময়ে কোনো চিৎকার না হলে চলে না।
তাই তোমরা শব্দবাজি ফাটাতে যাও।
একবারও কি ভেবে দেখো না —
কাছে দূরে যত মানুষজন আছে,—
দাদু, দিদা, ছোট ছোট ছেলেমেয়ে,
আমার মতো অনেক ছাত্রছাত্রী,
যারা পরের বছর জীবনের প্রথম লড়াই লড়তে যাবে,
তাদের সবার কী হবে?
এমনকি তোমাদের নিজেদের কী হবে,
তা তোমরা জানো না।
তোমরা মদ খাও, সিগারেট খাও,
তোমরা পার্টি করো,
Instagram-এ cringe reel বানাও।
তাই তোমরা বেপরোয়া, অকম্মাদ ঢেঁকি।
গত বছর যে কথা রেখেছিলাম আমি,
এ বছরও সেই কথা রাখব—
কখনোই বাজি ফাটাবো না,
অন্যের ক্ষতি করতে যাবো না।
শুধু দ্বীপ জ্বেলে চারপাশে আলো ছড়িয়ে দেব
আমরা সবাই।— একসাথে সবাই মিলে
শুধু চারপাশে আলো ছড়িয়ে দেব এই উৎসবে।
(২৯.১০.২৩)