পৃথিবীর যে দেশই গণতান্ত্রিক হোক না কেন,
সে দেশে গণতন্ত্র বলে কিচ্ছু থাকবে না,
থাকলেও তাকে খুন করে সমাধিস্থ করতে হবে।
সে দেশে থাকবে না কোনো অধিকার, আশা, স্বপ্ন,
থাকবে না তার সংবিধানের মর্যাদা।
থাকবে শুধু— স্বৈরাচার, একনায়কতন্ত্র।
থাকবে বোমা, বারুদ, বন্দুক, টিয়ার গ্যাস আর
পুলিশের লাঠি, ব্যারিকেড।
যে আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে,
পুলিশ দিয়ে তার পিঠের ছাল তুলে দিতে হবে।
গান গাইলে, কবিতা লিখলে, সাংবাদিকতা করলে,
অথবা মন্তব্য করলে
তাকে জেলের "খাঁচার ভিতর অচিন পাখি" করে তুলতে হবে।
তার গান, কলম, সিনেমা নিষিদ্ধ করতে হবে।
অথবা মৃত্যুদণ্ড, নির্বাসন।
ক্ষমতা আমাদেরই হাতে, আমরাই সবকিছু,
আর জনগণ শুধু পোষা কুকুর।
নির্যাতন করব— আমাদের ইচ্ছা।
নিপীড়ন করব— আমাদের ইচ্ছা।
অত্যাচার করব— আমাদের ইচ্ছা।
আর মানুষ দেশ ছেড়ে চলে যাবে, আত্নহত্যা করবে,
ভীত সন্ত্রস্ত হবে— তাদের ইচ্ছা।

বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা
কোটা সংস্কার চেয়ে আন্দোলন করছে,
পুলিশ এবং ছাত্র লীগের সঙ্গে সংঘর্ষ করছে,
অনেক ছাত্র মরেছে, আহত হয়েছে অনেকে—
কী যায় আসে আমাদের?
গাজায় যুদ্ধ এখনো থামেনি,
এখনো নারী, শিশুরা সেখানে মারা যাচ্ছে—
কী যায় আসে আমাদের?
দারিদ্র, নির্যাতন, নিপীড়ন, অবক্ষয়—
কোনো কিছুতেই কি আমাদের কিছু যায় আসে?
আমরা শাসক।
কোনো দেশের কোনো শাসকেরই কিছু যায় আসে না।
আমাদের ক্ষেত্রেও তাই।
আমরা সদাই উদাসীন।
আরে এ তো আমাদের রাষ্ট্রের নতুন নিয়ম!
এই নিয়ম সব রাষ্ট্রেই চলে।
চলছে, চলবে আমাদের স্বৈরাচারী শাসন।
চলছে, চলবে মানুষের কষ্ট ভোগ।
এইভাবেই চলবে গণতন্ত্র।


(১৯/০৭/২৪)