পর্ব ১

যে সময়ে ওদের জন্ম হয়েছিল,
সেই সময়ে
গানে, কবিতায়, গল্পে, উপন্যাসে
বয়েছিল গণআন্দোলনের জোয়ার।
সেই জোয়ারে ভেসেছিল ওরা।
দশকের পর দশক ধরে
ওরা গেয়েছিল "ঝরা সময়ের গান"।
ছুটতে ছুটতে ওরা সমবেত কণ্ঠে
পৃথিবীর ডাক ডেকেছিল।
সেই ডাক শুনেছিল সকলে,
ঘোড়াদের সঙ্গে নিয়ে
যুদ্ধ করেছিল অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে —
যা কিছু মানুষের।
আজ
মহীন নিঃস্ব,
ঘোড়াগুলো হারিয়ে গেছে,
নিঃস্ব গানের শহর।
কিন্তু
সত্যি সত্যিই কি ঘোড়াগুলির মৃত্যু হয়েছে?
রয়ে গেল ওদের পৃথিবীর ডাক,
ঝরা সময়ের গান।
মহীনের ঘোড়াগুলির আত্না মিশে আছে গানে।
বিষাদ লুকিয়ে রয়েছে হৃদয়ে, গোপনে।


(০২/০৭/২০২৩)
******************************
পর্ব ২

তাপস বাপি দাস
২০২৩ সালে চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই
বিলুপ্ত হয়ে গেছে মহীনের ঘোড়াগুলি,
যারা ঘাস খাচ্ছিল কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তরে।
কিন্তু শিল্প কি কখনো বিলুপ্ত হয়?
"ঝরা সময়ের গান"-গুলো এখনো আছে,—
বড় "মায়া" হয় সেসব শুনতে।
"আবার বছর কুড়ি পরে" তা হবে।
অনুভূতিগুলো নাড়া দিতে থাকে।
কিন্তু হায়—
ওরা সবার মনে জায়গা করতে পারেনি।
ব্যান্ড বলতে সবাই শুধু জানে—
ফসিল্স বা চন্দ্রবিন্দু।
কিন্তু কজন মনে রেখেছে মহীনের ঘোড়াগুলি?
আর যদি কাউকে জিজ্ঞেস করো—
"তোমাদের কাছে মহীনের ঘোড়াগুলি মানে কী?"
সে বলবে— "পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে"।
শুধু ওটাই।
তাকে মনে করিয়ে দাও—
মহীনের ঘোড়াগুলির হাত ধরেই
এই বাংলায় রক ব্যান্ড কালচার শুরু হয়েছিল।
ওরা ছিল বলেই আজ মানুষ ব্যান্ড সঙ্গীত শুনছে,
শুনছে গিটারের গর্জন, ড্রামের বাদ্যি।
ফসিল্স, চন্দ্রবিন্দু হেনতেন তোমাদের মনে থাকলেও
মহীনের ঘোড়াগুলি মনে থাকে না।
ছিঃ! ওয়াক! থুঃ!


(২২/০৭/২০২৪)