কুকুরটা কখন থেকে করছে "ভোঁ ভোঁ",
কিংবা কাঁদছে, সে করতে পারছে না সহ্য।
এত আওয়াজ, এত দূষণ এ শহরে
কেননা ফাটছে যত ডিসগাস্টিং দাহ্য।

বলছে কুকুরটা, "ওগো, কেউ কি শুনছো?
কত বাজি ফাটাবে আর? এবার করো বন্ধ!
আমি আর পারছি না থাকতে এ রাস্তায়!
বিস্ফোরণে পাচ্ছি ভয়, পাচ্ছি ধোঁয়ার গন্ধ!"

এমন সময়ে কুকুরটাকে বলল একটা লোক—
"যা হাট্! অন্য কোথাও গিয়ে গান কর!"
সময়ের এ কী নিয়তি, এ কী অদ্ভুত নিয়ম—
এ যুগের মানুষ কি এতটাই স্বার্থপর?

কেউ কি বুঝতে পারছে ঐ কুকুরটার কষ্ট?
কেউ কি করতে পারছে তার কষ্ট অনুভব?
বোধহয় না। কেন? সবাই যে স্বার্থপর,
শুধু বাজি ফাটিয়ে পালন করে চলে উৎসব।

এখনও ফাটছে বাজি, তবে সেই কুকুরটা
তবু করছে জোরে চিৎকার তার নিজস্ব ভাষায়।
মা মনস্কামনা,
শোনো আমার প্রার্থনা—
তুমি শোনো ঐ কুকুরটা কী বলতে চায়।

(বন্ধ হোক বিস্ফোরণ,
মুক্ত হোক সমীরণ—
আমি জানাচ্ছি দাবি,
সে দাবি হোক পূরণ।)


(৩১/১০/২০২৪)
মালদা