ছ'মাস পর মালদা থেকে
কলকাতার সেই এক অভিশপ্ত পাড়ায় এসে
ঘুরে ফিরে দেখা।
বাস থেকে নেমে গিয়ে দেখি—
পাড়াটার চেহারা বদলে গেছে।
সুন্দর রাস্তাগুলোয় ছোট ছোট পাহাড়,
লাইনে সাজানো ইঁটের সারি।
এক কাপড়ের দোকানের সামনের যে জমিটায়
মাটি খোঁড়া চলছিল,
সেখানে এখন এক নতুন ফ্ল্যাট— চারতলা।
আমাদের বাড়ির সামনের ফ্ল্যাটটার পাশের যেখানে
নতুন একটা বাড়ির কাজ চলছিল,
সেখানে এখন আরো দুটো তল যোগ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় তলটির কাজ চলছে।
তার সামনের রাস্তায় একটা বাড়ি ছিল।
এখন সেটা উধাও।
পড়ে আছে কাদা মাটি আর জল।
কিন্তু সেই ছোট্ট মাঠ,
যে মাঠে কত উৎসব হয়, খেলা হত,
যে মাঠে আমি ঘুরে ঘুরে সাইকেল চালাতাম,
সেই মাঠটা পাল্টায়নি।
একইভাবে সেখানে সবুজ ঘাস জমেছে।
প্রতিবেশীরা এখনো আমায় ভোলেনি,
আমি তাদের ভুলিনি...
সেই ছ'মাস পরে দেখা।
ভোলা কি যায়?
হরিদেবপুরের রাস্তা একইভাবে বেহাল বৃষ্টির জন্যে।
অজয় সংহতির মাঠ মোটা কাপড়ে ঢাকা—
আড়ালে বোধহয় পুজোর কাজ চলছে।
পুজোর পোস্টারগুলো নজর কেড়েছে।
একটা পোস্টারে লেখা—
"২০২৪-এ 'দেবব্রত' এবার মন চুরি করবে।"
মনে একটা প্রশ্ন—
"কীভাবে মন চুরি করবে? গান গেয়ে?"
দেখা যাবে। এটাই আশা।
একরকম থেকে গেছে টালিগঞ্জ, বাঁশদ্রোণী,
নাকতলা, রাজপুর হেনতেন—
সেই রাস্তাঘাট, দোকানপাট, অটো-বাস, মূর্তি,
স্কুল, গাছপালা...
কিছু জিনিস বদলায়, আবার বদলায় না।
কলকাতা তার একান্ত নীরব সাক্ষী।
সাক্ষী আমি, সাক্ষী তুমি, সাক্ষী সবাই।
(০৪/০৮/২০২৪)
রাজপুর, কলকাতা