(কবিতার শুরুতে একটা কথা বলি— যারা পুলিশ হতে চায়, এখানে আমি তাদের ইচ্ছেকে অসম্মান করছি না। এটা আমার উদ্দেশ্য একেবারেই নয়। বরং আমার উদ্দেশ্য হল— পুলিশ এবং এই কেরিয়ার সম্বন্ধে তাদের সচেতন করে তোলা)

ভেবে দেখেছ কি?
যে পুলিশ হতে চায়,
যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে দেশ সামলানোর স্বপ্ন দেখে,
সে যদি পুলিশ হয় তো কী করবে?

এ কথা সবাই জানে—
রাজ্য পুলিশ কীভাবে কাজ করে।
ধর্ষণ, গণহত্যা, বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটলে
তারা হয় না পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রক।
তারা হয় নীরব দর্শক, বোবা, কালা।
অসহায় মানুষ তাদের সামনে বসে হাত জোড় করে কাঁদলে
তারা এমন মুখের এক্সপ্রেশন বানায়, এমনভাবে দাঁড়িয়ে থাকে,
যেন তাদের কিছু করার নেই,
আর কোনো ভূমিকা নেই নীরব দর্শক, বোবা, কালা ছাড়া।

মানুষ, বিরোধী নেতা সমর্থকেরা
শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে,
শাসকের অফিসের দিকে অভিযান করলে
পুলিশ প্রস্তুত করে রাস্তার মধ্যে
কত শত ব্যারিকেড, জলকামান, ইঁট।
অথবা তেড়ে আসে, টেনে হিঁচড়ে দেয়,
মারপিট করে, গুলি চালায়।
প্রতিবাদ হয়ে ওঠে ব্যাহত।
এই না হলে পুলিশের শাসন? পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ?

এই এত সব হতে থাকে পোড়া দেশে।
পুলিশ শুধু নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষা করে
কেবল ঘুষের টাকার জন্য,
শাসকের জার্মান শেফার্ড হওয়ার জন্য।
ঘুষ না দিলে কি তারা কিছু করতে পারে?
শাসক তাদের বানিয়ে দেয় নিমেষে জার্মান শেফার্ড,
যার কাজ মালিকের কথা শোনা, কথামতো চলা।

একেই বলে পুলিশ, পুলিশের ভূমিকা...

ভাবো,
যে পুলিশ হতে চায়,
সেও কি নীরব দর্শক, বোবা, কালার ভূমিকা পালন করবে?
সেও কি মানুষ থেকে পোষা কুকুর হবে?
তবে তো মানুষের আস্থা হারিয়ে সে হয়ে উঠবে মানবশত্রু
আর পাঁচটা পুলিশের মতো।

তাই মনে হয়—
এ পোড়া দেশে পুলিশ হওয়া খুব কঠিন।
আইন রক্ষক হওয়ার থেকে জার্মান শেফার্ড হওয়া
অত্যন্ত সহজ।


(২৭/০৮/২০২৪)