দক্ষিণবঙ্গে হিটস্ট্রোক—
প্রচণ্ড গরম।
কয়েকদিন পর বৃষ্টির আভাস মিলবে—
সেই খবরের দিনে-দিনে প্রচার হচ্ছে।
অন্যদিকে ব্রেন স্ট্রোক
এক চাকরিপ্রার্থীর মৃত্যুর কারণ—
ইমরান হোসেন তার নাম।
সে বলত—
সবাইকে নিয়ে আন্দোলন করতে হবে।
আন্দোলন হয়েছে।
২৬,০০০ চাকরি গেছে।
নির্বাচনের পরও সেই ছবি আমাদের
মনে জ্বলজ্বল করছে,
কিন্তু রাজনৈতিক কুশীলবদের নয়।

মাতঙ্গিনীর মূর্তির পাদদেশে হয়েছে স্মরণসভা।
স্মরণে ইমরান হোসেন—
চাকরি না পাওয়ার চাপ সইতে না পেরে
শেষমেশ হয় তার ব্রেন স্ট্রোক
(অন্য ছাত্ররা তার বদলে আত্মহত্যা করে)।
মুখ্যমন্ত্রী সেই ব্রেন স্ট্রোক
আরো অনেক ইমরানদের দিয়েছেন,
কিন্তু চাকরি দেননি।

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী,
আপনি কি সেই বেশরম অভিভাবকদের মতো,
যারা বাচ্চাদের বাঁচার অধিকার না দিয়ে
দেয় শুধু ব্রেন স্ট্রোক বা চাপ?
২০২৪ সাল এটা।
আপনি 'যোগ্যশ্রী' প্রকল্প চালু করেছেন।
কিন্তু চাকরিটা কবে দেবেন?
দুবছর পর বিধানসভা নির্বাচন এ রাজ্যে।
আর কত রাস্তায় বসে থাকা ইমরানদের মনে
ব্রেন স্ট্রোক দেবেন আপনি?

এই কি আপনার মুখ্যমন্ত্রিত্ব? রাজধর্ম?
আর ইমরানরা কি আপনার পোষা কুকুর?

ইমরান যদি নেই তো কী হয়েছে?
তার সবাইকে নিয়ে লড়াই করার কথা তো রয়ে গেছে,
রয়ে যাবে নীরবে, ময়দানের বুকে,
মাতঙ্গিনীর পায়ের ফুল হয়ে,
মাতঙ্গিনীর হাতে থাকা পতাকার মধ্যে,
এবং অবশ্যই সংবাদপত্রে।


(১২/০৬/২৪)
মালদা