"এক প্রাগৈতিহাসিক যুগে এরম ডিসেম্বরের দুপুরে ছাদে মাদুর পেতে টেস্ট পেপার সল্ভ করতাম। আলাদাই ছিল সেইসব দিন।"— একটি ফেসবুক পোস্ট
২০২৪ শেষের দিকে।
মাধ্যমিকের
শেষে
এখন একাদশে
পড়ছি আমি, থাকছি মালদায়
কিন্তু কলকাতাকে মনে পড়ে যায়।
মনে পড়ে
মাধ্যমিকের আগের সে দিনগুলো, উঁকি মারে
গোপনে,
জীবনে,
ইতিহাসে।
সেই অবকাশের
হয়ে গেছে আজ অন্ত
যেহেতু এখন আমি শহর থেকে দুরন্ত,
বড় হয়েছি আমি, পড়ছি বড় ক্লাসে,
কিন্তু মন সেই হারানো ইতিহাসে
ফিরতে চায়।
হায়!
তা আর হয় না।
পেটে আমার কিছুই সয় না।
প্রাগৈতিহাসিক যুগে
মায়ের হুজুগে
সুন্দর এই শীত-দুপুরে
মাদুর পেতে বই, কাগজ প'ড়ে,
অথবা এই দুপুরে
একটু পাগলামি ক'রে,
মেখে সূর্যের আলো
সময় কাটতো খুব ভালো।
ঐ ছাদে
মাঝেমধ্যে পরিজনদের সাথে
হয়ে যেত কথা।
উপভোগ করতাম স্বাধীনতা।
টবে ফোটা যত চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, জবা ফুল
আমায় করে তুলত পুলকাকুল
বর্ণে, গন্ধে।
ছন্দে
কবিতাগুচ্ছ ফেলতাম লিখে—
সঞ্চার করতাম মন ভালো করা যত স্মৃতিকে—
বড়দিনের মেলা, অনুষ্ঠান,
পুলক জাগানিয়া গান,
কলকাতার এদিক-ওদিক ভ্রমণ—
স্মৃতি রোমন্থনে আজও হয় পুলকিত মন।
মানুষ বড় হয় যত,
অবিরত
সেসব ঘুরে বেড়ায় মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষে।
এক-এক করে ভাবি তার কথা বসে বসে।
আজ অম্লান সেই দুপুর,
সুন্দর স্বর্ণালী রোদ্দুর
ও সেই সব দিন
মনকে করে তোলে সাতরঙা রঙিন।
মন চায়— ফিরে যাই,
কিন্তু ফেরা যায় না। তাই স্মৃতি নিয়েই এগোতে চাই।
(০৭/১২/২০২৪)
মালদা