(Based on "Another Brick In The Wall, Part 2" by Pink Floyd)
*(সংবাদে প্রকাশ, হাওড়ার কোনো এক স্কুলের পরিচালন কমিটির সম্পাদক অন্য ছাত্রের সঙ্গে মারপিটের অভিযোগে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রকে এমন চপেটাঘাত করেছেন যে, শেষমেষ ঐ ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার প্রতিবাদে এই লেখা।
সৌজন্য: আনন্দবাজার পত্রিকা)

ও মাস্টার, আপনি করেন অত্যাচার,
বলুন তো, পেলাম কী শিক্ষা?
শিক্ষা পেতে হলে খেতে হবে মার?
এই শিক্ষার জন্য কি দিয়েছি দীক্ষা?

আমি জানি, আমি ভুল করেছি,
বুঝতে পেরেছি, স্কুলে করা যায় না।
আপনি আমায় ক্ষমা করে দিতেন,
কিন্তু মার? একদমই মানায় না।

বকাবকি-ও তো করতে পারতেন,
কিন্তু আপনি আমায় এমন মারলেন,
শেষমেশ আমি এখন হাসপাতালে—
ভেবে দেখেছেন, আপনি কী করলেন?

ভেবে দেখার সময় কোথায় হে?
ডিগ্রি, খ্যাতি-ই তো সবকিছু।
এই যদি আপনি হন সম্পাদক,
আপনার কাছে বিবেকের মাথা নিচু।

এই যদি হয় স্কুলের শিক্ষা,
তবে এ শিক্ষা চাই না আমি।
হতে চাই না দেয়ালে বন্দী,
দেয়াল ভেঙে হতে চাই অন্তগামী।

উড়ে যেতে চাই পাখি হয়ে
স্বাধীন হয়ে ঐ মহাশূন্যে।
আমায় এদিক-ওদিক খুঁজতে খুঁজতে
আপনারা হবেন ক্লান্ত, হন্যে।

সেদিন আপনি পারবেন বুঝতে—
"কী ভুল করেছিলাম আমি?"
বুঝবেন, আপনার জন্যই আজকে
আপনার এক ছাত্র স্বর্গগামী।

মনে মনে আমি করব গুনগুন—
"যাক বাবা! মুক্তি পেয়েছি আমি!"


(২৬/১১/২০২৪)
মালদা