কোত্থেকে এলো ‘দুর্গতি’?
বেড়ে চলল দিনভর।
পাপ, দুঃখ, দুর্যোগ, কষ্ট,---
দেব তাকে এক চড়।

করলো জীবনকে harmed,
দিলো মোদের যন্ত্রণা;---
মরে গেলো কত গাছ এতে,
কি হবে এর থেকে বাঁচার মন্ত্র?

জ্বালালো সে জঙ্গলে, বাড়িতে
আগুন অমাবস্যার রাতে,
মরে গেলো কত আদরের পশু,---
পড়লাম সর্বনাশের ফাঁদে।

শেষ করে দিলো শুকিয়ে গোলাপ,
জুঁই, রজনীগন্ধা;---
আকাশে ওঠালো এক বড় ঝড়,
হয়ে গেলো আনন্দ বন্ধ।
দিলো মৃত্যু, করলো হত্যা,
আক্রান্ত হলো কত মানুষ,
একের পর এক দুঃসংবাদ
আনলো, ওড়ালো দুঃখের ফানুস।

কে আসবে মোদের এর হাত থেকে
বাঁচাতে? কি হবে এর মন্ত্র?
মোরা এর উত্তর খুঁজে না পেলে
যেন ঐ অসুর শোনাচ্ছে পঞ্চতন্ত্র।

কেউ নয়, কিন্তু শুধু যিনি আসছেন
মোদের এর হাত থেকে বাঁচাতে,
তিনি স্বয়ং মা দূর্গা,--- দুর্গতিনাশিনী,
যুগে যুগে তিনি আসেন ফিরিয়ে আনতে শান্তি।

হবে এবার মন্ত্র, “হে মা দূর্গা,
জাগো, বিনাশ করো ওই অসুরকে,
ফিরিয়ে আনো শান্তি, আবার থাকবো আনন্দে,---
গাইব তোমার নামে “জয় মা দূর্গা” জয়গান।"


(ডিসেম্বর ২০২০)
কলকাতা