এই জুলাই মাস ফুরালে
পড়ে থাকবে দুটো মাস।
পুজো দেরি হলেও পাচ্ছি
আগমনীর পূর্বাভাস।

পেয়েছি হাতে পুজোসংখ্যা
আনন্দবাজারের।
আপডেট পেয়েছি নতুন
কত কবিতা-গল্পের।

কোথায় কোথায় কী থিম—
কৌতুহল জাগছে মনে।
কেমন হবে এবারের পুজো—
তা তো সবাই জানে।

দুর্গাপুজো বাঙালীর
বড় উৎসব প্রাণের।
আসলে তা প্রাণের নয়,
এটি উৎসব ত্রাণের।

সব জেলার ক্লাবগুলো
প্রচুর টাকা পায়।
নিরাপত্তা থাকবে কি?
প্রশ্ন থেকে যায়।

লোকে বলে প্রাণের উৎসব,
"প্রাণ"টাই তো বিপন্ন।
আমার মনে সন্দেহ জাগে
কলকাতার জন্য।

মনে আঁকিবুঁকি করে
পুরোনো অভিজ্ঞতা।
মনটাকে জাপটে ধরে
পুরোনো বহু কথা।

পুজোর সন্ধেগুলোয় হবে
লাইটিংয়ের খেলা।
মানুষের সেই ভিড় করবে
শৃঙ্খলাকে অবহেলা।

এ সবের শুরু হবে
বিকেল-সন্ধে থেকেই।
সময় যত এগোবে...
তার তো কোনো কথাই নেই।

বিস্ফারিত ভিড়ে হবে
লোক ঘেঁষাঘেঁষি।
এইখানেতেই জীবনের
ঝু্ঁকি সবচেয়ে বেশি।

কখন দেখবো মায়ের মুখ,
বোঝা ভীষণ দায়।
ভাবতে ভাবতে সারা শরীরে
ঘাম জমে যায়।

তার ওপরে মাইকে বাজে
কত সব বাংলা গান।—
এই গানেই বাঙালি খুঁজে
পায় পুরোনো জীবন।

গান, অনুষ্ঠান করলেই
পুজোর প্রাণ পাওয়া যায় না।
শৃঙ্খলাও যে দরকার—
সেটা নিশ্চিত করা হয় না।

ভিড় সামাল দেওয়া হোক,
নিরাপত্তা থাকুক।
উৎসব হোক আনন্দময়,
সবাই ভালো বাঁচুক।

দুর্গোৎসবে বিশৃঙ্খলা
থাক প্রশ্নের মুখে।
সুফলের অপেক্ষায় থাকি
আশা ভরা বুকে।

নিরাপত্তাময় "শারদ শুভেচ্ছা।।"


(৩১/০৭/২০২৪)
মালদা