(অবিরাম ভালবাসায়
রূপম ইসলাম ও বাংলা রক প্রেমীরা
জয় রক 🤟)
ঘাড় পর্যন্ত ঝাঁকড়া চুল,
চোখে গোল ফ্রেমের চশমা,
মনে-বুকে জ্বলন্ত আগুন, অদম্য সাহস —
একজন ভদ্রলোক মাতিয়ে তোলেন প্রজন্মকে
বাংলা রকের তালে।
একজন ভদ্রলোক মাইক হাতে নিয়ে নাচেন,
চিৎকার করেন, মাথা ঝাঁকান
বাংলা রকের তালে।
একজন ভদ্রলোক গান লিখে চলেন,
গান গেয়ে চলেন গিটার হাতে —
কখনো acoustic version-এ, কখনো rock version-এ।
সেই ভদ্রলোকটিকে শুনতে হয়েছিল —
"বাংলায় রক হয় না।"
তবু তিনি লিখে চলেছেন, গেয়ে চলেছেন।
আজ প্রমাণিত— বাংলায় সব হয়—
রক হয়, rap-ও হয়।
সেই ইলেকট্রনিক গিটারের গর্জন, ড্রামের বাদ্যি,
মাথায় ঝাঁকুনি, হাতে yo pose
তৈরি করে আরো একটা স্বর্ণযুগ, আরো একটা বিপ্লব—
যা বদলে দেয় গানকে, অডিয়েন্সকে।
তরুণ-তরুণীর গায়ক, রকের জনক, নতুন পথপ্রদর্শক তিনি।
আজ পঞ্চাশ বছর বয়সেও
তার সুরেলী গলা থেকে ঝরে পড়ে প্রেম, অনুভূতি,
আর গলা ফাটানো চিৎকার থেকে প্রতিবাদ।
তিনি বিশ্বাস জাগান ঘুরে দাঁড়ানোর,
মুখে অ্যাসিড ছোঁড়ার,
অপদার্থদের গালে ঠাসিয়ে চড় মারার,
পেছনপাকার পেছনে লাথি মারার।
তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি আবেগ।
আমার কাছে তিনি এগিয়ে চলার প্রেরণা —
কে কী বলছে, শুনতে হবে না,
নিজের কাজ করে যেতে হবে,
চোখে আঙুল দেখিয়ে যেতে হবে,
যেমনটা তিনি করেছেন
যখন লোকে বলত, "বাংলায় রক হবে না।"
এখনো যদি কেউ বলে, রকে কিছুই নেই—
না কথা, না সুর, শুধু চিৎকার,
তাকে বলে দিই— "শুয়োরের বাচ্চা!"
(১৬/০৪/২০২৪)