মানুষে মানুষে বিচ্ছেদ ঘটেই চলে—
আলাদা হয়ে যায় তারা,
চায় অন্য কাউকে ভালবাসতে,
কিন্তু কখনো কি ভেবেছো?
এই বিচ্ছেদের ফলে
তাদের সন্তান-সন্ততির কী হবে?
ওদের কেমন লাগবে?
ওরা কার সাথে থাকবে?
আজ সন্ধ্যায় বৃষ্টির মধ্যে
একটা বিড়ালছানা সারাক্ষণ কাঁদছিল
তার মায়ের জন্য—
কারণ—
তার মা ও বাবা আলাদা হয়ে গেছে।
খুব কাঁদছিল বেচারা বিড়ালছানাটা।
সে এখন কীভাবে, কার সাথে জীবন কাটাবে?
বলো তো কেউ।
তার কান্না শুনে মনে পড়ছিল
আরও এক বিচ্ছেদ কাহিনী —
আমার ড্রয়িং সেন্টারের একটি মেয়ের ছোট্ট বোন বলেছিল—
তারও মা-বাবা আলাদা হয়ে গেছে।
তাকে লালনপালন করছেন তার ঠাম্মা এখন।
সে সারাজীবন হয়তো একলাই পড়ে থাকবে,
যদি ঠাম্মাও ছেড়ে চলে যায়?
সে কীভাবে বাঁচবে তার পরিজনকে ছাড়া?
নবনীতা দেবসেন ও অমর্ত্য সেনের মধ্যে
বিচ্ছেদ ঘটেছিল ১৯৭৬ সালে।
কিন্তু তাদের সন্ততিরা ভোলেনি—
যে তারা তাঁদের সন্তান,—
তারা মা-বাবাকে মনে রাখবে।
এখনো তাদের মনে পড়ে মা-বাবার কথা।
সেই সন্ততিরা হল—
অন্তরা দেবসেন, নন্দনা সেন।
যে সন্তান-সন্ততিরা
মা-বাবাকে হারানোর জন্য কাঁদছে,
তারা যেন দুঃখ না করে।
এই বিচ্ছেদের সঙ্গে যেন মানিয়ে চলে
অন্তরা-নন্দনার মতো।
আর মানুষ,
অন্তত....অন্তত—
নিজেদের ভালবাসো।
মিছিমিছি আলাদা হয়ে যেও না,
নইলে তোমাদের ছেলে-মেয়েরা ভুল পথে যাবে,
মৃত্যুর নিষ্ঠুর অনুষ্ঠানে ছুটবে,
আত্মহত্যাগামী হবে।
(২৬/০৬/২০২৩)