টাকা, গয়না চুরি করলেই কি মানুষ চোর হয়?
যে কোনো কিছু চুরি করলেও চোর হওয়া যায়।

চুরি করা যেতে পারে কিছু কবিতা, কিছু গান।
চুরি করা যেতে পারে কিছু মানুষের মান-সম্মান।

চুরি করা যেতে পারে কিছু ছায়াছবির কনসেপ্ট।
কজন মানুষ আর নতুন কিছু করে এক্সপেক্ট?

এই পৃথিবী চোরে ভর্তি, চোর আমরা সবাই।
চুরি করে আমরা অনেক মনের শান্তি পাই।

বলিউড, টলিউড কত মুভি চুরি করে—
এই করেই বক্স অফিস অনেক টাকায় ভরে।

গায়করাও কিন্তু করে থাকে কিছু গান চুরি—
প্রচুর খাদ্য খেতে খেতে পেটে মস্ত ভুঁড়ি।

আমি একটি গান চুরি করে লিখেছি কবিতা—
সেই গান সবাই শুনেছে, গেয়েছিলেন নচিকেতা।

কিছু কবি চেষ্টা করেছে চুরি করতে কবিতা—
কিন্তু সে নিয়ে হয় না অত বিশেষ কথা।

স্বামী চুরি করতে পারে স্ত্রীর মান সম্মান।
উল্টোও হয়। এই কলহেই কাটে তাদের জীবন।

এ সব শুধু ভারতবর্ষেই সীমাবদ্ধ নয়,
এই চুরির মারণ রোগ সর্বত্রই ছড়িয়ে যায়।

চুরি একটি মারণ রোগ, তার মৃত্যু নেই—
সবাই আক্রান্ত, কিন্তু আমরা তো যে কে সেই।

কী যায় আসে কেউ যদি সবকিছু চুরি করে?
কিছু ভাবি না বলেই মোদের মনে মরচে ধরে।

পৃথিবীটা চোরে ভর্তি, এটা চোরেদের যুগ।
চুরি করোনার চেয়েও মারাত্মক এক রোগ।

আমরা সবাই চোর, চুরি করতে ভালবাসি।
চুরি করে যা পাই, তাতেই আমরা হাসি।


(২২/০৭/২০২৪)