(মানুষ তার ইচ্ছেমত প্রকৃতিকে ক্রমাগত পরিবর্তন করে চলেছে। তার ভারসাম্য নষ্ট করেছে, আরও কত অপরাধ করে চলেছে। এটি একটি আক্ষেপমূলক কবিতা, অবশ্যই মনুষ্য বিরোধী। তাই সর্বজনগ্ৰাহ্য নাও হতে পারে।)
সৃষ্টি হোক নূতন
তারা সৃষ্টি সুখের উল্লাসে
হাঁকিয়েছে বাড়ি, করেছে গাড়ি,
তারা মানুষ, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব
রয়েছে মহাবিলাসে।
করেছে কত ক্ষেত্রজুড়ে অরণ্য নিধন,
সেথায় আবার কত অট্টালিকা স্থাপন।
ছেড়েছে কত বিষাক্ত গ্যাস প্রকৃতিতে
বাধ সেধেছে জলের অবাধ বিচলনে।
করেছে হত্যা কত প্রাণীরে,
কত শিশু মাতৃক্রোড়ে!
আরও করেছে কত অপরাধ,
কেইবা হিসাব রাখে তার।
ছিঃ নেই মান, নেই হুঁশ,
তারা নাকি আবার মানুষ!
অদ্ভুত এই বিধাতা, অদ্ভুত তার কৃষ্টি,
বানিয়েছে বহু, করেছে তার বিপরীত সৃষ্টি।
যেমনে সৃষ্টিছে অনেক পদার্থ,
তেমনে অজান্তেই গড়েছে এই মানুষস্বরূপ অপদার্থ।
প্রকৃতি যখন রুদ্র তেজে আপন মহিমায়।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব, তখন শুধুই বিধাতার করুণায়।
এক অনুজীবের তাড়নায় তাদের জীবন বিপন্ন।
অস্তিত্ব রক্ষায় প্রশ্নের মুখে আজ তাদের ধম্ম।
নিজ জাতিকে বাঁচাতে পারে
না জানি কোন ধম্মের তা কম্ম!
যুগে যুগে প্রকৃতি করেছে বিবর্তন,
ঘটিয়েছে পরিবর্তন।
ছিল হিমযুগ, ছিল ডাইনোসরাস,
আজ তারা বিলীন।
তাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব যে অমর সৃষ্টি,
সে আশা খুবই ক্ষীণ।
বাঁচুক বরং অণুজীব, নিক নতুনসব প্রজাতি জন্ম
এসব ধম্ম-অধম্ম বিভেদ খেলা নয়কো তাদের কম্ম।
হোক তাদের বৃদ্ধি, বাড়ুক তাদের বংশ।
সৃষ্টি হোক নূতন, পুরনো হোক ধ্বংস।
কাটুক এ জরা, ভরে উঠুক ধরা।
দূর হোক সব অসাম্য, ফিরুক প্রকৃতির ভারসাম্য।।