(একটি মজার পরিবেশন)
'গৃহবন্দী কর্তা'
অফিসের কাজে কর্তা
একনিষ্ঠে মগ্ন তখন,
হঠাৎ করে শোনা গেল
ছড়িয়েছে নাকি করোনা সংক্রমণ!
উপর থেকে একদিন এলো আদেশ
মধ্যাহ্নভোজের পরে,
শুরু হবে লকডাউন
এবার থাকতে হবে ঘরে।
খবর শুনে গিন্নির তো
ভীষণ মজা হল,
কষ্টের দিন ঘুচে কি তালে
বিশ্রামের দিন এলো!
গিন্নির মনোবাঞ্ছা বুঝে
কর্তা যে পড়ল ফাঁপরে,
অনিচ্ছা সত্ত্বেও, এখন
সে ঘরটা ঝাড়ু মারে।
বাগানে ফুল-ফল ফলায়
কর্তার আছে গুণমান,
যদিও তা গিন্নীর কাছে
বেগুনের সমান।
অবসরে কর্তা গল্প লেখে
কবিতাও পাঠ করে,
তবে তা দাগ কাটে না
গিন্নির অন্তরে।
গিন্নি বলে যাওতো এখন
করোনা ভ্যাদ ভ্যাদ,
পারলে কুটো নেড়ে, দুটো করো
খেওনা প্রোডাক্টিভ ল্যাদ।
সময় বয়ে যায়
লকডাউন বেড়ে চলে,
ইতমধ্যে কর্তা, গৃহকর্মে
উন্নতি করে ফেলে।
হাতে এখন অনেক কাজ
কর্তা ভীষণ ব্যস্ত,
প্রথম প্রথম কষ্ট হলেও
এখন সে অভ্যস্ত।
গৃহকর্মের পাশে পাশে, কর্তা এখন
পূজা-পাঠও করে,
অকাতরে ভগবান কে ডাকে হাঁকে
চুটিয়ে প্রার্থনা করে--
''ওরে করোনা, তুই মরে যা রে..
বেরোই আবার ঘরের বাইরে
ঘুরি জগৎটারে..
ওরে করোনা তুই মরে যা রে..
তুই মরে যা রে.. তুই মরে যা রে.."