বসে বসে অলীক চিন্তনে..
মন চলে যায় কোন সুদূর পানে,
আটকাতে চাইনা তাকে,
টানতে চাই না কোন সীমারেখা
কত কিছুই না জানি, এখনো অদেখা!
ভাসিয়ে দিয়ে স্বপ্নের ভেলা, চড়ে বসি
উড়ে যাই মেঘেদের সাথে, বিভোর হয়ে দেখি..
কি বিশাল এই সাগর-মহাসাগর,
আত্মগরিমায় তাদের প্রশান্ত কেন্দ্র যেন
গাম্ভীর্য বজায় রেখে চলেছে।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রান্তিক ঢেউগুলো
চঞ্চল শিশুদের ন্যায় তটে খেলা করে
আঁকিবুকি কেটে আবার ফিরে আসছে।
সুদূরবিস্তৃত, কি স্নিদ্ধ পর্বতমালা!
অম্বরভেদী তার তুষারাবৃত শৃঙ্গ..
তাদের শুভ্র শীতল গাত্র যেন
রুপোলী চাদরে আবৃত।
কোথাও, কিছু বিক্ষুব্ধ পর্বত
অগ্নিমুকুট পরিধান করেছে।
তাদের লাভারূপি প্রচন্ড ক্রোধ যেন
গলিয়ে তছনছ করে দেবে সব।
নদ-নদী বেশ এঁকেবেঁকে চলেছে,
পাহাড় পর্বতে নবযৌবনা তীব্র খরস্রোতারূপে..
কোথাও জলপ্রপাত, কোথাওবা মন্থকূপ
সৃষ্টি করে এগিয়ে চলেছে।
সমতলে এসে আবার তা যৌবন হারিয়ে..
এক মনখারাপী প্রবাহে সাগরে মিশেছে।
কি গহীন অরণ্য, সবুজে ভরপুর।
তাদের আর্দ্র অন্ধকারাচ্ছন্ন ভূমি,
না জানি কত প্রজাতির বাসস্থান।
কোথাও আবার রুক্ষ ধু ধু মরুপ্রান্তর,
গাছগুলোও যেন অভিমানে
পাতাকে করেছে কাঁটায় রূপান্তর।
আহা, কি বৈচিত্র্য! কি অরূপ রূপে সজ্জিত এই ধরা
যতই দেখি মুগ্ধ হই, তবুও হৃদয় যায় না ভরা।