অনিমেষ, তুমি কী পারবে?
     বলো, সত্যিই কী পারবে?
   এই অন্ধকূপ থেকে আমাকে--
      উদ্ধার করে নিয়ে যেতে।
  সত্যিই কী পারবে অনিমেষ?
আঁধারের তামাশায় জীবন নিঃশেষ।
    অনেক কষ্টে এখনো হাসি--
  ফুটফুটে তুলির জন্যই বাঁচি!
     অনিমেষ, আমি যে পারছিনা।
ইচ্ছে করলেও বেরোতে পারছিনা।
    অদৃশ্য বেড়ী পায়ে পড়েছে।
    আমি থেকে অমরা হয়েছে।
লড়াইটা আরও কঠিন হয়েছে।
   পরিস্থিতি পিছনে টেনে রেখেছে।
     কেমন যেন মায়ায় পড়ে--
দু-চোখের ঘুমও গিয়েছে উড়ে!
    দায়িত্ব পালন করতে করতে--
বয়সের ভারে বসেছি মরতে!
   কফিন বন্দি সংসারের যাঁতাকলে--
কোনোমতে বেঁচে আছি বনফুলে।
  অনিমেষ, তুমি কি পারবে?
   বলো, সত্যিই কি পারবে?
এই অন্ধকূপ থেকে আমাকে--
    উদ্ধার করে নিয়ে যেতে।
মাতালের ঘরে, চাতাল নেই!
    চাল নেই, চুলোও নেই!
শুধু ছিলো শরীরের লোভ!
  আর কিছু বিষণ্ণ ক্ষোভ।
জানিনা, তুমি কেমন আছো?
অনিমেষ, আগের মতোই আছো?
  নাকি, তুমিও বদলে গেছো?
হয়তো তুমি ভালোই আছো।
  ভালো থাকবে এটাই স্বাভাবিক!
   ভালো না থাকাটা অস্বাভাবিক!
একদিন ভালো থাকবো বলে--
শিকার হয়েছি শকুনি কৌশলে।
    আজ আর ভালো নেই--
অনিমেষ, পরিবারে স্বামীও নেই।
    মা-বাবাও যে বেঁচে নেই।
একলা ঘরে একলাই সেই--
   দিন আনি, দিন খায়!
      ঝি খেটেই দিন যায়।
তুলির ইচ্ছেতেই বেঁচে আছি!
   নরক যন্ত্রণায় বেশ মাখামাখি।
নিজেই সাজিয়েছি নিজের চিতা--
  ইতি তোমার প্রিয়তমা পরিণীতা!
একখানা চিঠি হাতে পেলাম--
   মুহুর্তেই আমি থমকে দাঁড়ালাম।