গোধূলি লগ্নে তোমার যেদিন বিবাহ হল—
কতো লোক, কতো গাড়ি হাঁকিয়ে এলো!
বর, বরযাত্রীর ভিড়ে তুমি তলিয়ে গেলে।
যাক এ-যাত্রা পাল-বাবু তাহলে রেহায় পেলে!
সন্ধ্যায় অতিথিরা এসে নিমন্ত্রণ রক্ষা করে!
আবার রাতে ফিরে গেল নক্ষত্রের দিকে—
ঝলমলে আলো রেশনাই বাতি নিভিয়ে নিভৃতে!
আমি যে দেখিনি তোমার লাজুক মুখ—
অন্দরে মেয়েরা ঘিরেছে তোমার ধূসর চোখ—
ফুলে ফুলে ঢলে গেছে বসন্ত মন--
সার্থক হয়েছে! তুমি খুঁজে পেয়েছো আপনজন
তারপর ফাঁকি দিয়েই তুমি তো চলে গেলে—
পয়লা পয়লা মনে হয়েছিল এই বেশতো--
আর কিছুই আমার হবেনা হয়তো!
বুকে খিল দিয়ে তবু আমার নিঃশ্বাসগুলো--
গভীরেই যখন হঠাৎ হঠাৎ আটকে যাচ্ছিল!
মনে হচ্ছিল যেন প্রবল বানের জলে--
আটকানো হচ্ছে মামুলি কিছু বস্তা ফেলে।
তুমি যে সেই অধরাই চলে গেলে—
স্বামী, সংসার, পুত্র, কন্যাসহ ভালো থাকো।
মাঝেমধ্যে আমার কথা তোমার মনে পড়লেও--
উটকো বলেই তুমি নাহয় উপেক্ষা কোরো।
মানুষ যেমন উপেক্ষা করে তার কাছে--
কর্জা চাইতে আসা অসহায় দরিদ্র লোকটিকে!