তোমাকে ঘিরে শত ব্যস্ততার মাঝে,
আমি যেন হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে!
আকুল হয়ে নন্দিনী কবিতার ভিড়ে-
আমি খুঁজে চলেছি শুধু তোমাকে।
প্রতিটি ছন্দের পরতে পরতে যেন-
মুগ্ধ হয়ে শুধু তোমাকেই দেখেছি!
বুঝতেই পারিনি তবু যে কেন-
অলীক কল্পনায় জলরঙে তোমায় এঁকেছি।

মালগড়ির মতন লাইনগুলি ছুটে চলেছে-
পারিনি তবু যে আমি থামাতে!
জাদু প্রেমে, তোমার ওই ঝকমারিতে-
কিছুতেই পরিনি নিজেকে সামলে নিতে।
ওই সেই মায়ামুখ, দুষ্টুমিষ্টি হাসি-
আমি যে ভুলতেই পারিনা কিছুতে!
ঘুমে জাগরণে, স্বপ্ন এঁকে যাই!
জানি পাবোনা! তবু যে তোমাতে-

আকন্ঠ ডুবে, এ যেন ইচ্ছামৃত্যু!
সর্বনাশী ঝড় যেন এক লহমায়;
নৌকা ডুবিয়ে মাঝপথে অভিমান হেতু;
জানিনা মানুষও কেন বদলে যায়!
তবে কি উপভোগকে মানুষ ভালোবাসে?
আমি যে ভালোবাসি প্রজাপতির ডানা!
ভালোবাসি রাখালের পায়ে ওড়া ধূলোপথে--
রক্তিম সূর্য আর সবুজের হাসনুহানা!

নিরাশার পথে পাড়ি দিতে অজানায়!
কালক্ষয়ে তবুও নন্দিনী পেতে চাই!
কোনো এক জোনাকি লাগা সন্ধ্যায়!
ফিরে এসো সেই পরিচিত ঠিকানায়!
মায়াতলির প্রশান্ত বট বৃক্ষের ছাওয়াতে-
ভিন্নপথেই পথিক হয়ে দেখা হোক!
জমানো যত কথা পাহাড় ঝাড়াইয়ে--
চঞ্চলা এক পাহাড়ী নদী হোক!

হোক বানভাসি! - হোক না সর্বনাশ!
অনেক তো হয়েছে তাচ্ছিল্যের উপহাস!
জন্ম হোক এবার কয়েকটা দূর্বাঘাস--
পেতে চাই! - এইটুকুই যে অভিলাষ!
নন্দিনী তুমি কেন অভিমানের চাদরে-
ঢেকে রেখে আমায় ভুলে গেছো?
বহুরূপী মহাজনী জীবন তরী অনাদরে--
জানিনা তুমি কীভাবে বেঁচে আছো!