.
পিতার নামে কন্যা খাচ্ছে--
   কন্যার নামে নাতি।
নাতির নামে পুতিও খাবে--
   উপোষ থাকবে জাতি!
বাবার পেশা ছেলে পাবে--
  ছেলের পরে'ই নাতি।
চাষার ছেলে চাষা'ই হবে--
   কোটা'ই গড়া জাতি?
নেতার ছেলে নেতা হবে--
  কোটা পাওয়া মন্ত্রে।
মন্ত্রীর ছেলে মন্ত্রী হবে--
সাজানো নেতার ষড়যন্ত্রে।
কমবেশি সবাই সবকিছু জানবে--
   তবু দর্শক আসনে।
মানুষ কেন নিরব থাকবে?
   ভয় থাকবে প্রাণে?
টাকায় আনবে টাকা টেনে--
   কালো হলেও চলবে।
মালিক, হুজুর, সাহেব মেনে--
  তালুকদার হয়ে বাঁচবে?
  ধনী আরও ধনী হবে--
    মানুষ মরবে কেঁদে!
গরীব আরও গরীব হবে--
   সমাজের চোখ বেঁধে।
লুটেরা দলে লুটপাট হবে--
   ডাকাত করবে ডাকাতি।
চোরের দলেই নাম লেখাবে--  
  মামারা করবে চড়ুইভাতি।
বেকারত্বের ক্ষুধাও দেশটা খাবে--
      মানুষ মরে মরুক।
   সরু পেটে'ই গরু ঢুকে--
     নিন্দা করে করুক।
তরুণ, তুমি, লড়বে কবে?
    দেখাবে কবে শক্তি?
   কোটা প্রথা নিপাত যাবে--
      মেধাবী পাবে মুক্তি।
  মরতে এসে মরেই যাও--
   তবুও চলুক লড়াই।
কোটা, কোঠা, গিলেই খাও--
    ভাঙো ওদের বড়াই।
এযাবৎ তো দুধ-কলা দিয়ে--
     কাল সাপ পুষেছি।
সময় এসেছে, হাতুড়ি দিয়ে--
  বিষ দাঁতগুলো ভাঙছি।
দেশের যোদ্ধা মরে'ই ভূত--
    বাঁচবে কেন কোটা?
স্বার্থসিদ্ধি, কার্যসিদ্ধি, শিল্প নিখুঁত--
    দেশটা করবে দেউলিয়া?
  এসো, এসো, বাইরে এসো--
     এসো, পথে নেমে।
  দেখো, দেখো, চেয়ে দেখো--
     বিপদ! জীবন যৌবনে।
  অধিকার চাইলে, দেখছে যমদূত--
     মিলছে রাজাকারের তকমা।
   স্বৈরচারি তুমি বড়'ই অদ্ভুত--
          কেন যে মরোনা?