এইবার দেখো তোমাকে ঠিকই ভুলে যাবো।
এইভেবে ভেবে কতবার যে এগোতে চেয়েছি!
সামান্য সামনে এগোতে যেই দু-পা ফেলবো! স্বপ্নঘোরে বিষাদ ছায়ারা যেন আবার ওমনি--
হুমড়ি খেতে খেতে হবে নিখোঁজ নিরালায়!
আমি যে কবে নৌকাডুবি স্বচক্ষে দেখবো।
দেখবো কেমন করে আমাকে বাঁচাতে চায়!
মাঝে মধ্যে অবসর পেলে আমিও ভাববো--
ঠিক কোন জাদুবলে তোমাকে এক লহমায়।
আমৃত্যু ভোলা যায়, এইবার আমিও দেখবো--
কতটুকু পলেস্তরা খসে পড়লে মন পিঞ্জিরায়!
ধোঁয়া ওঠে চায়ের কাপে; - আমিও দেখবো।
তোমার দেখানো স্বপ্নেরা বুকের ভিতর করবী--
কেন যে ভালবাসার আন্দোলন গড়ে তুলে?
আমিতো অতি সাধারণ নবাগত শিশু শিক্ষার্থী।
আমার যে আন্দোলনকে বড়ো ভয় করে।
রক্তের বন্যায় আমি যে প্রতিনিয়ত বুঝেছি--
তোমাকে ভুলে যাওয়া এতো সহজ নয়।
ভুলে যাওয়া সহজ বলে দাবিও রাখিনি।
তোমার চাওয়া মুক্তির নামে চুক্তি ভয়।
তুমি চলে যাওয়ার পরে বেশ বুঝেছি--
তোমাকে ভুলে যাওয়া এতো সহজ নয়।
আমি যে, বাদুড় ঝোলা ঝুলে আছি!
সময় সময়ে, সময়ের আমি করেছি নয়ছয়!
এখন ঘুরতে গেলে তোমাকেই মনে পড়ে--
হাটিহাটি পায়ে পাশাপাশি, তুমি নেই পাশে!
দু-দন্ড বসলেও তো শান্তি মেলেনা মনে।
' তুমি ' নামক বিষন্ন কটকটে দুপুরটা বুকে--
কেমন যেন গোপনে চেপে বসে আছে।
শুতে গেলেও তো ক্ষণে ক্ষণে মনে সেই--
শত ব্যস্ততার মাঝেও আমার স্বপ্নে ভাসে,
করবী তোমার মাথায় যে বালিশ নেই।
খেতে গেলেও তো তোমাকে মনে পড়ে--
গলা দিয়ে ভাত নামে না কিছুতেই,
কাটার মতো আটকে ধরে গলার মাঝে।
ঘুমাতে গেলে, চোখ দুটো বন্ধ করলেই--
তোমার প্রিয় মুখটাই তো ভেসে আসে।
চোখের ঘুম যেন গুমনামি হয়ে যায়।
সারারাত কেটে যায় এপাশ ওপাশ করে-
ঘুমের দেশে চোখ নেভেনা। থাকে পাহারায়।
মক্তির নামে যুক্তিতে তুমি আমাকে ছেড়ে--
শতাব্দীর পথ ধরে করবী হেঁটে গেছো।
কিন্তু আজও আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে--
কোথাও না কোথাও তুমি আটকে আছো।
চোখে, ঠোঁটে, বুক পাজরের নরম ক্ষতই!
তোমাকে ভুলে যাওয়া এতো সহজ নয়!
তোমার তুলনায় তুমি ঠিক তোমার মতোই--
তোমার অতীত হওয়াটাও মোটেই সহজ নয়।