এখন সীমানা জুড়ে পাঁচিল তুলেছো--
  উঠোন করেছো বেশ আঁটো:
বাইরে রাখছো ইয়া-আ বড়ো গেট--
  শুধু মনের দরজাটা খাটো!
যতদিন ঘরে হাঁড়ি ছিল বড়ো--
  জেঠা-কাকা ও বাবা মা-তে:
হাসিতে গল্পেতে দিন কেটে যেতো--
   ঝোলে ঝালে আলু ভাতে।
পাশাপাশি বাড়ি কি বোঝাই যেতোনা--
     সীমা কার ঠিক কতদূর।
এ-বাড়ির গান যে, উঠোন পেরিয়ে--
  ও-বাড়ি তুলতো মধুর সুর।
এ-বাড়ির গাছে ফুল ফল হলে--
   ও-বাড়িও তো যেতো আধা।
হেঁসেল ঘরে চিনি কম হলে--
  চেয়ে আনা ছিল বাঁধা ।
এ-বাড়ির খুড়ো ও-বাড়ি চা খেতো--
  আবার ও-বাড়ির বুড়ো ভাত।
এ-বাড়ির সামান্য কোনো ঝামেলা মেটাতে--
ও-বাড়িও যে, বাড়াতো হাত ।
আজকে সবার বড়ো বড়ো বাড়ি--
পাঁচিলেও লাগানো রকমারি কাঁচ ।
এখন এ-বাড়ির কারো হৃদয় ভাঙলে--
ও-বাড়িও পায়না তার আঁচ ।
বড়ো বাড়ি আর ছোটো পরিবার--
একদিন চেয়েছিলো বুঝি তারা।
এ-বাড়িতে কেউ মারা গেলে তাই--
আজ ও-বাড়িও দেয়না সাড়া।
এখন সীমানা জুড়ে পাঁচিল তুলেছে--
  উঠোন করেছে বেশ আঁটো:
বাইরে রেখেছে ইয়া-আ বড়ো গেট--
  শুধু মনের দরজাটাই খাটো!
এক পাড়াতেই তো পাশাপাশি থাকি--
তবুও রাখিনা কারো খোঁজ!
প্রতিবেশী হয়ে তার প্রতি বেশি--
চেয়ে থাকি সকাল-সন্ধ্যা রোজ।