তথাকথিত শিক্ষিত সমাজে সম্ভ্র্যান্ত মানুষেরা-
আজ উচ্চ কন্ঠে বলছে, - মেয়েটা নাকী নষ্টা!
কিন্তু, করল কে? - আর হলোই বা কেন?
আমার কাছে কেন জানি অস্পষ্ট উত্তরটা।
কেউ কী চাই বলো - নিজে নিজেই নষ্ট হতে?
কেউ চাই কি! - নিজের আত্মসন্মান হারাতে?
অদ্ভূত জটিল রহস্য! তাহলে কী এর পিছনে-
আমার আপনার মতোই কেউ রয়েছে অদৃশ্যে?
নাকি শুধুই দিকভ্রান্ত এই সমাজের বুকে-
অসভ্যতার আদতে আছড়ে পড়া ঢেউ-
থাকতেই পারে তাঁর যৌবনের ক্ষুধা!
থাকতেই পারে দুর্বৃত্তের অভাব অনটন!
আসলেই কি শুধু সেইটুকু কারণেই,,,
কেউ কি দেয় নিজের মান-সন্মান বিসর্জন? হয়তো তাঁর হাজার এক অসুবিধা ছিলো-
হয়তো সে প্রকাশও করে ফেলেছিলো সেটা!
আমাদেরই মতো কেউ বাড়িয়েছি হাত-
নিয়েছি চরম অসহায়তার সুবর্ণ সুযোগটা।
প্রলোভন! - সে তো আমরা পুরুষেরাই দিয়েছি!
না জানি দেখিয়েছি কতো রঙীন স্বপ্নের নেশা!
তাহলে ওই মেয়েটা সত্যিই কী নষ্টা হলো?
নাকি নষ্ট করাটা পুরুষ আমাদেরই পেশা?
এই উত্তরটাই আমি খুঁজে চলেছি সর্বদা!
উত্তর আমাকে একদিন খুঁজে পেতেই হবে-
আচ্ছা নাহলে কী এই সব দিকভ্রান্ত মেয়েরা;
এভাবেই কি সারাজীবন নষ্টা হয়ে থেকে যাবে?