তোর কালো কাপড় এবার খুলে রাখ--
বদ্ধ চোখে তুই'ই, ওই গন্ধটুকু'ই পাবি!
তুই'ই শালা, এখন অন্ধ হয়েই থাক--
কলম খোঁচায়, সত্যি আর কি লিখবি?
পারলে কেলা, ন্যায্য অধিকার ছিনিয়ে রাখ--
হাতের তালুকদার হয়ে আর কতটুকু লুটবি?
উলঙ্গ হয়ে রাজপথে একদিন শুয়ে থাক--
মিথ্যাচারের পোষাকি রুপ তুইও শালা দেখবি।
মুখোশের আড়ালে কতশত সুন্দর মায়াবী মুখ--
লহমায় ভোল পাল্টে, - দিব্বি বেঁচে যায়!
হৃদয়ের নীল রঙে বেদনারা, কেলা উন্মুখ!
যা মানুষকে আমৃত্যু শুধু কুরেকুরে খায়।
শৈশব থেকে এখন বেড়ে উঠেছি মহীরুহে--
শেখানো হয়েছে শিক্ষা নাকি জাতির মেরুদণ্ড।
অথচ আশ্চর্য হই, - চরম বাস্তবটাকে দেখে--
অবলীলায় তো দেখানো হয় শিক্ষার মৃত্যুদণ্ড।
কোটার জোরে আজ শিক্ষার্থী উঠেছে কোঠায়!
ভক্ষক হয়েছে রক্ষক পেয়েছে দেশের সিংহাসন
শিল্প শিক্ষা সম্পদে নীতিহীন দুর্নীতির লাটাই।
প্রতিবেশী দুই দেশে চলে অরাজকতা, প্রহসন।
একশ্রেণী যে সুযোগ সন্ধানী, অভিশপ্ত বিষাক্ত!
একশ্রেণী চক্রবূহে আজও আটকে পড়ে আছে।
আর একশ্রেণী আবার তো দলদাসেই আসক্ত।
প্রজন্মের কথা একশ্রেণী যেন ভুলেই গেছে।শ্রেণীহীন মানুষ যে অতৃপ্ত কলিজা ছিঁড়ে--
কালো বাজারের বাণিজ্যে লক্ষী লাভ পেয়েছে!
ভাতা লোভী উজবুক একশ্রেণী ঘুম ঘোরে--
রোজ রাতে নটিশালায় রঙীন জল খেয়েছে!
একটু একটু করে গোটা অখন্ড দেশটাকে--
এরপর অজগরের মতো ওরা গিলতে চেয়েছে!
আদর্শ, বিবেক, মনুষ্যত্ব, সব উচ্ছন্নে পাঠিয়ে-
একদিন ওরাই তো দেশের মাথা খেয়েছে।
জাতির মেরুদণ্ড সোজা করে চলার আগে--
ওদের দুর্বল মেরুদণ্ড সোজা করে বাঁচুক।
কত কিছুই তো বলো চামড়ার মুখে--
খরচা হয়না, - হলে দেশটা হতো চাবুক।