ম্যাচিসের বুক জুড়ে,
শুয়ে থাকা কাঠি :
ডোরাকাটায় ঘষা লেগে,
জ্বলে ওই ফুলকি!
স্থিতি থেকে গতি ,
অল্প হাতের ছোঁয়া;
বারুদটা নগণ্য অতি ,
মুখে ঠুসে দেওয়া ।
ছয়তল, - তিন ভাগে,
চারকোন জুড়ে থাকি ;
ঘনকের মহা নামে ,
খাতা জুড়ে আঁকিবুকি !
দিনশেষে কালো হই ,
পুড়ে যায় মুখ !
আমিতো আমার নই !
তবু ভাঙে বুক ।
তোমার স্নেহের হাতে ,
ঘুরে ফিরে রোজ ;
বিনা ব্যবহারে রাতে ,
রাঁধা হয় ভোজ !
বিজ্ঞান আজ মহাবলে ,
গ্রাস করে সব !
উন্নয়ন হেঁটে চলে ,
শুধু মানুষগুলোই নীরব !
প্রয়োজন তাই জ্বলি ;
শেষ ভাষা প্রতিবাদী !
সমাজের চোখে ঠুলি ;
বোধহয় স্বল্প মেয়াদি !
আমি একটা ছোট্ট ,
পোড়া ম্যাচিসের কাঠি !
দৈত্য দানবের মত ,
চুপ থাকা জাদুকাঠি !
টিক টিক শব্দে ,
কেটে যায় যুগ !
পোড়া বারুদের গন্ধে ;
সবুজ চোখে অসুখ ।
মানবতা মরেই ভূত ,
তবু ফুল ফোটে !
নীতিহীন দুর্নীতি নিখুঁত ;
দশে দেশ লুটে ।