এক যুবতী সন্ধ্যার জঠরে নিষিক্ত ডিম্বাণু--
সাধনের শুভ্র কামনায় ছুটে আসা শুক্রাণু!
অনাবিল গ্রীষ্মে যেন সে তিষ্ণার্ত চাতক--
জীবন সৃষ্টি অভিলাষে শ্রেষ্ঠ টোটকা পাঁচক!
তবুতো মল্লিকার জন্ম হয় পৃথিবীর বুকে--
কামনা বাসনা লালসার চরিতার্থ জীবন সুখে!
এক মল্লিকার জন্ম যেন সর্বনাশের খেলায়--
এক মল্লিকা জন্ম নিয়েছে বেলা আবেলায়!

এক মল্লিকা আজও চিলেকোঠার গুমরে কাঁদে,
আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে সে, মানুষের বিছানো ফাঁদে!
এক মল্লিকা তবু যেন নির্ভয়ার মতো--
হরিণী চোখের সক্ষমতায় ঢেকে রাখে ক্ষত!
এক মল্লিকা ঠাঁই নিয়েছে কবির কাননে--
প্রেমঅহমিকায় ঝরে যায় রোজ সে রোষানলে!
তবুতো মল্লিকার বুকেই যেন দীপ্ত-সূর্য হাসে--
এক মল্লিকার চাঁদ কলঙ্ক আলোর অনুতাপে--

এক মল্লিকাই জন্ম দিতে পারে  প্রাণ--
এক মল্লিকা বিছানায় খোঁজে অচেনা ঘ্রাণ!
ভ্রমর আসে গুনগুনিয়ে হুল ফুটিয়ে ফেরে!
এক মল্লিকা ফুটপাতের আঁধারে অকালে ঝরে।
তবুতো মল্লিকাই বিপ্লবীর গলায় শোভা পায়--
হাঁটু-জলে এক মল্লিকা আজও খাবি খায়!
লাশকাটা ঘরে এক মল্লিকাই নিথর পড়ে--
অথচ মল্লিকার বুকেও মলয়া সুগন্ধী ওড়ে!

কফিনের ধোঁয়া, এক মল্লিকা হয়েছে আধুনিকা
এক মল্লিকার চোখে যেন জীবনের যবনিকা!
তবুও মল্লিকাদের জন্ম হয় পৃথিবীর বুকেই--
কামনা বাসনা লালসার চরিতার্থ জীবন সুখেই!
এক মল্লিকা হতেই পারে বীর বিরঙ্গনা--
সমাজ ছাড়েনা পিছু, শিকার যেন প্রবঞ্চনা!
এক মল্লিকার বুকে যেন ভাঙনের ঢেউ--
এক মল্লিকা লুণ্ঠিত, তবু দেখেনতো কেউ!