লাল শাড়িতে তোমায় দেখেছি এক ঝলক--
চুরি যাওয়া পড়ন্ত বিকেলের রক্তিম সূর্যালোক!
রাখালের পায়ে হেঁটে আসা গর্ভবতী সন্ধ্যায়--
বেনামে'ই লেখা হল নতুন এক অধ্যায়!
ঘুড়ি ওড়ানোর বয়সে আমি নিজেকে উড়িয়ে--
পাখির পায়ে ভর করে উড়েছি আকাশে!
লাট্টু ঘোরানোর বয়সে আমি নিজেকে ঘুরিয়ে--
ফুলের গন্ধ মেখে মিশে গেছি বাতাসে!
ঝলসে গেছি তবুতো পড়েনি চোখের পলক--
রাঙা ঠোঁট, খোলা চুলে দেওয়া স্বর্ণ-কনক!
কালো টিপ, ছোট্ট অন্ধকারে চেয়ে অপলক!
লাল শাড়িতে তোমায় দেখেছি এক ঝলক--
খুঁজিনি কোনো কামিনীর বুকে প্রেম নিরর্থক--
খুঁজিনি কোনো শরীরি ভাষায় শরীরে লিপলক!
হরিণী চোখের মায়ায় ক্লান্ত চোখের পলক--
লাল শাড়িতে তোমায় দেখেছি এক ঝলক!
দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে পৃথিবীর অপরূপ সৃষ্টি--
রুক্ষ্ণ হৃদয়ে দোলা দিয়েছে শ্রাবণের বৃষ্টি!
মেঘের ভেলা ভাসিয়ে মন হারিয়ে অজানায়--
ধরা পড়েছে আর এক নতুন ঠিকানায়।
আষাঢ়ে গল্প; - নন্দিনীর মুখে যেন কল্পতরু--
খুবই স্বল্প; - স্বপ্নও দেখতে করেছি শুরু!
হেঁটেছি অনেক পথ - পেরিয়েছি বালিয়াড়ি মরু
ক্ষণেক্ষণে তবু কেন বুক করে দুরু-দুরু?
এই বুঝি চিতায় তুলে প্রেম আমার--
অভিমানে পুড়িয়ে দাও যদি নন্দিনী আবার!
ইচ্ছে যে ছিল ষোড়শী আরও একবার--
তোমার চোখেই চোখ রেখে আমার হারাবার!
চুরি যাওয়া পড়ন্ত বিকেলের রক্তিম সূর্যালোক!
লাল শাড়িতে তোমায় দেখেছি এক ঝলক--
কালো টিপ ছোট্ট অন্ধকারে চেয়ে অপলক!
রাঙা ঠোঁট - খোলা চুলে দেওয়া স্বর্ণ-কনক!
দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে পৃথিবীর অপরূপ সৃষ্টি--
রুক্ষ্ণ হৃদয়ে দোলা দিয়েছে শ্রাবণের বৃষ্টি!
ঝলসে গেছি তবুতো পড়েনি চোখের পলক
লাল শাড়িতে তোমায় দেখেছি এক ঝলক--
ধানের শীষে পুলক ছুটে দোদুল্যমান টিকলি--
কৃষ্ণ রঙেও দেহ ভাঙে, - জোৎস্নায় রুপালি!
কখনো সে বনমালী, - কখনো সে রাধা!
কখনো শুধুই মালি! চার-দেওয়ালে থাকে বাঁধা।
চুরি যাওয়া পড়ন্ত বিকেলের রক্তিম সূর্যালোক!
কালো টিপ, ছোট্ট অন্ধকারে চেয়ে অপলক!
হরিণী চোখের মায়ায় ক্লান্ত চোখের পলক--
লাল শাড়িতে তোমায় দেখেছি এক ঝলক!