নিষ্ঠুর " লাল " আগুন--
সাজানো চিতায় জ্বলতে থাকে দেহ।
দস্যুর " লাল " ফাল্গুন--
ষোড়শীর বুকে জমতে থাকে সন্দেহ।
লাবণ্য " লাল " উপহারে--
ভালোবাসায় যেন বসন্ত কেনা যায়!
অস্পৃশ্য " লাল " সংসারে--
আসল নকল সকলকেই চেনা যায়।
সংকেতে " লাল " চাইলেই--
চলন্ত ট্রেনকেও থামিয়ে দিতে পারে।
একচিলতে " লাল " পরিধানেই--
নারীও দেবীর রূপান্তর নিতে পারে।
গ্লাসের " লাল " জলে--
আমিত্ব ফিরে পাই অতিথি বেশে।
নকশার " লাল " ফুলে--
চেনা মুখ যেন রাতের অভিযানে।
একটা " লাল " তবু--
মানুষের রক্তে মিশে থাকা হিমোগ্লোবিন।
একটা " লাল " কভু--
ব্যাস্ত সড়কের থামা ট্রাফিকের আইন।
তবুও " লাল " হোক--
প্রেমিক চোখে আঁকা ভালোবাসার চিহ্ন।
স্বার্থেও " লাল " শোক--
শয়তান চোখে দেয়, - বিদ্রহের জন্ম।
অন্তহীন " লাল " আকাশ--
পড়ন্ত বিকেলে রবি, - লালচে আঙিনায়।
নেশাতুর " লাল " চোখ--
অচেনা ঘ্রাণে সাঁঝবাতি জ্বলে যায়।
একটুকরো " লাল " তবু--
আগুন পাখির ঠোঁটে লেগে থাক।
শহীদের " লাল " প্রভু--
আমার বিপ্লবী রক্তে মিশে যাক।
একটা " লাল " চাই--
শোষণের নাগপাশা ছিঁড়ে আলো আনুক।
একটাও " লাল " নাই--
শাসনের নীল পৃথিবীকে " লাল " মানুক।