নশ্বর শরীরের কথা কেউ জানেনা,
একমাত্র আমিই যে তার সারথী।
বোঝালেও তো কেউ কেন বোঝেনা?
কাতর কণ্ঠে ওরাও চাই মুক্তি!
ইচ্ছার ফানুষে ক্ষণিক ভাসতে চেয়ে,
কল্পনিক হয়েই যেন মিছে বোঝা।
স্বপ্নের সলিল সমাধি আমাদের একসাথে,
তবুও তো চকিত সুখ খোঁজা।
কে জানতো এই পোড়া কপালে--
একদিন ঠেকে যাবে সব গহীনে।
কে জানতো এভাবেই দুরত্ব বাড়ালে--
ডুবে যাবে তুমি বিস্মৃতির অতলে।
জানিনা আর কোনোদিন ফিরবে কিনা--
আমার এই ছিন্ন নষ্ট নীড়ে।
তবু তোমারি আশায় আজও আনমনা--
শত ব্যস্ততার মাঝেও তোমাকে ঘিরেই ।
কখনো আকাশে কোনো এক তারাকে--
আজও খসে পড়তে দেখা গেলে।
আচ্ছা দেখা তো যেতেই পারে--
জীবনের এই জন্মের পুণ্য জলে।
তুমিহীন আমি এক গিরীসংকট পৃথিবী--
ভেজা বালিশের বুকে নির্ঘুম রাত।
শুকনো কাঠ গোলাপের বিবর্ণ পাঁপড়ি--
বেঁচে মরার এক শ্রেষ্ঠ অজুহাত!